ব্যালকনিতে বসে বুড়ি সোয়েটার বুনে যান অনবরত।
অন্য বাড়ির হেঁসেলপ্রিয় বড় বৌ উলের রঙে মুগ্ধ হন। নজরে রাখেন। "অদ্ভুত জেল্লা"।
মেজবৌ আনন্দলোকের আলোয় উদ্ভাসিতা। তিনি নব্য নায়িকার ব্লাউজের কাটের সাথে সে সোয়াটারের ধাঁচের মিল এ বাড়ির জানালা থেকেই মালুম পান। তবে ধাঁচটুকুই।
"চেষ্টা আছে, তবে তেমন কী আর"।
সেজবৌ রবীন্দ্রানুরাগী।
"বুড়ি তো লেখাপড়া জানে, সে না হয় দু'পাতা গপ্প বা মহাভারত পড়ে দুপুর কাটাত! তা নয়। ব্যালকনিতে বসে শুধু দেখনাই করে ছেলে নাতির জন্যে সোয়েটার বোনা"।
ছোট বৌ ছাতে পাড়ার বেড়ালের দল নিয়ে খেলে। কলকলিয়ে হাসে আর শুধোয়;
" ও মাসী, হুলোর কোট তো হল। বাঘুবাবুর সোয়েটার কি গরমকালে বোনা শেষ হবে?"।
বুড়ি মিচকি হাসেন, হাত নেড়ে কন "আর দু'টো দিন রোসো"।
রামকেষ্ট ঠিক সে সময়ই হাতির পিঠে আকাশে টহল দেন। বুড়ি ছাড়া কারুর গোচর হন না উড়ন্ত পরমহংস।
ঠাকুরকে একটা কথাই শুধু শুধিয়ে চলেন তিনি;
"হাতির অমন বিটকেল নাম দিলে কেন ঠাকুর? ফেলু শুনেছি, হাবু শুনেছি; ফেবু কোন নাম হল?"
1 comment:
আজ আপনার হল কি? ধাঁই ধপাধপ কিল চড় না চালালে হচ্ছিল না নাকি। সকালটা দারুণ কাটল আজ।
Post a Comment