রাত আড়াইটে বাজলেই ফ্যাসফ্যাসে গলায় কথা বলার শব্দটা মাইকেলের কানে আসে। রোজ।
"আমি মরিনি, হাহাহা, আমি মরিনি", এক ঘেয়ে খ্যানখ্যানে গলা, তাতে চাপা উত্তেজনা। আনন্দ মাখা উত্তেজনা।
মাইকেল আজ আর থাকতে না পেরে কফিনের ডালা খুলে কবর থেকে বেরিয়ে এসে বলেই ফেললেন "আমি জানি জন, প্লেনক্র্যাশটা তুমি অবিশ্বাস্য ভাগ্যের জোরে সার্ভাইভ করেছিলে। তাই বলে এই বিশ্রী শো অফ?"।
জন "এক্সকিউজ মি" বলে সিচুয়েশন হালকা করে চটপট বেরিয়ে গেল সেখান থেকে। কবরে ঢোকার আগে মাইকেল দেখতে পেলে তার এপিট্যাফের ওপর কাঁচা ভাবে কালো পেন্ট দিয়ে লেখা "প্লেনে ভেঙে কেস খেয়েছে জব্বর"। নিচে জনের সই। উফফ। বদের বাসা একটা।
***
হুড়মুড় করে বেরোবার সময় মিশেলের সাথে দেখা হল জনের।
- ফের তুমি মাইকেলের সমাধির কাছে গেছিলে?
- হুঁ। রোজই যাই।
- অথচ ওর বিশ্বাস তুমি মানুষ। উফ! ভূত হয়ে আজ পর্যন্ত ভূত চিনতে শিখল না সে!
- বিশ্বাসটুকুই থাক না।আমার এ'সব ছেলেমানুষি ও সহ্য করে সহজেই, বেঁচে থাকতেও করত। দাম্পত্যে এটুকু খুনসুটি না থাকলে চলে বলো? কিন্তু নিজে মারা যাওয়ার পরেও, আমার মৃত্যুসংবাদ সহ্য করার ক্ষমতা মাইকেল অর্জন করতে পারেনি। ও পারেনি। আর ওর এ বিশ্বাসটুকু টিকিয়ে রাখতেই তো এই পাগলের চেষ্টা। বেচারার কবরের ঘুমটা অন্তত শান্তিতে হোক। এ ভালোবাসায় জ্যান্ত থাকতে তো শান্তি পেলে না সে। কবরে ভালো থাক অন্তত।
No comments:
Post a Comment