Friday, February 26, 2016

খতরামোহন ও করমচাঁদ


- বল্লম সিং! অ্যাই বল্লম সিং! এত রাত্রে এত হাঁকডাক কেন?
- কোটাল সাহেব! কয়েদীরা উল্লাস আরম্ভ করেছে।
- উল্লাস?
- উল্লাস।
- কাল শূলে চড়বে আর আজ ফুর্তি? ভয়ে পাগল হয়ে গেছে নাকি?
- ওদের নেতা করমচাঁদ। সে বললে, শূলেই নাকি মুক্তি। বিপ্লব সার্থক।
- বটে? শূলে মুক্তি? ব্যাটাচ্ছেলের বাড় বেড়েছে বড়! আচ্ছা! আমিও কোটাল খতরা মোহন। বল্লম সিং!
- আজ্ঞে কোটাল সাহেব। 
- করমচাঁদকে বলে দাও। তার ও তার স্যাঙাতদের শূলে চড়ার রদ হয়ে গেছে। 
- সে কী! দেশদ্রোহী। ওদের মারবেন না?
- মারব! মারবই। না মারলে হাড় জুড়োবে ভেবেছ? তবে ঘ্যাচাং করে শূলে চাপালে দেখছি চড়ুইভাতি হয়ে যাবে। শূল ক্যান্সেল। ওদের অন্যভাবে তড়পে মারব। 
- আগুন?
- নাহ! জ্বালায় ওদের বড় সুখ। 
- পাহাড় থেকে ঠেকে ফেলে দেওয়া?
- হারামজাদাদের যত নামাবে, তারা তত উঠবে।
- তবে কোটাল সাহেব? কী করে মারবেন?
- বিষ। 
- ফলিডল? 
- নাহ! তার চেয়েও সাংঘাতিক। 
- কেউটের খাঁচা?
- নাহ নাহ! তাতে যন্ত্রণা যথেষ্ট নয়। 
- তবে? কোন বিষ কোটাল সাহেব?
- সিস্টেম। সিস্টেম।   

1 comment:

Anonymous said...

না মশাই, আপনি না একটা কিছু ঘটিয়ে ফেলেন।