- কোটাল সাহেব! কয়েদীরা উল্লাস আরম্ভ করেছে।
- উল্লাস?
- উল্লাস।
- কাল শূলে চড়বে আর আজ ফুর্তি? ভয়ে পাগল হয়ে গেছে নাকি?
- ওদের নেতা করমচাঁদ। সে বললে, শূলেই নাকি মুক্তি। বিপ্লব সার্থক।
- বটে? শূলে মুক্তি? ব্যাটাচ্ছেলের বাড় বেড়েছে বড়! আচ্ছা! আমিও কোটাল খতরা মোহন। বল্লম সিং!
- আজ্ঞে কোটাল সাহেব।
- করমচাঁদকে বলে দাও। তার ও তার স্যাঙাতদের শূলে চড়ার রদ হয়ে গেছে।
- সে কী! দেশদ্রোহী। ওদের মারবেন না?
- মারব! মারবই। না মারলে হাড় জুড়োবে ভেবেছ? তবে ঘ্যাচাং করে শূলে চাপালে দেখছি চড়ুইভাতি হয়ে যাবে। শূল ক্যান্সেল। ওদের অন্যভাবে তড়পে মারব।
- আগুন?
- নাহ! জ্বালায় ওদের বড় সুখ।
- পাহাড় থেকে ঠেকে ফেলে দেওয়া?
- হারামজাদাদের যত নামাবে, তারা তত উঠবে।
- তবে কোটাল সাহেব? কী করে মারবেন?
- বিষ।
- ফলিডল?
- নাহ! তার চেয়েও সাংঘাতিক।
- কেউটের খাঁচা?
- নাহ নাহ! তাতে যন্ত্রণা যথেষ্ট নয়।
- তবে? কোন বিষ কোটাল সাহেব?
- সিস্টেম। সিস্টেম।
1 comment:
না মশাই, আপনি না একটা কিছু ঘটিয়ে ফেলেন।
Post a Comment