বামপন্থী বামাপ্রসাদ গরমে বড় কষ্ট পাচ্ছিলেন।তাই বললেন "উফ, কী গরম। কী বীভৎস গরম, ফেব্রুয়ারিতেই কী গরম"।
ডানপন্থী ডাঁটাশঙ্কর প্রতিবাদ করলেন : "গরম আছে। কষ্ট আছে। তবে শালা তুমি চিটচিটে বল কোন সাহসে? স্পষ্ট মালুম হচ্ছে প্যাচপ্যাচে গরম। স্পষ্ট"।
বামাপ্রসাদঃ "হারামি কি আর সাধে বলি? প্যাচপ্যাচ আবার কি? গায়ে বিটুমিন ঢালছ নাকি হে?"।
ডাঁটাশঙ্করঃ "বিটুমিন?"
বামাপ্রসাদঃ "ওহ। তুমি তো আবার সংস্কৃতে না বললে বুঝবে না। বিটুমিন মানে আলকাতরম্"।
ডাঁটাশঙ্করঃ "অ। বুঝেছি। এ দেশী গরমের আলকাতরা তো আবার তোমার অনুভব করা বারণ। চিনের আলকাতরা তোমার আলকাতরা"।
বামাপ্রসাদঃ "চিন তুলে কথা বলেছ কি লকআউট করব...রিভোলিউশনে ডরাই ভেবেছিস?"।
ডাঁটাশঙ্করঃ "তুই তোকারি? কাস্ত্রো শিখিয়েছে? গোমূত্রের সুইমিং পুলে বাটারফ্লাই স্ট্রোক ঝেড়েও মুক্তি পাবি ভেবেছিস?"।
বামাপ্রসাদঃ "এই হয়েছে এক রোগ। তর্কে ল্যাজেগোবরে হলেই গীতার নামে হাবিজাবি কোট? বলি গীতা কি রুমি না কালাম? অবশ্য ল্যাজ গোবরে ঠেকলে সে'টা তো প্লেজার, তাই না?"।
ডাঁটাশঙ্করঃ অ্যাই, কে কোথায় আছিস ত্রিশূল বের কর। জং ধরেছে? কোই বাত নেহি। ফটোশপ কই? ফটোশপ?
বামাপ্রসাদঃ তবে রে? বিপ্লবের জন্য মরতে হেসিটেট করব ভেবেছিস? অ্যাই, ম্যানিফেস্টো আন ভাইটি। আর ওজনদার বইটইগুলো। কী? পড়া হয়নি? খুললেই ঘুম পায়? ধুর! পড়তে কে চাইছে। এদিকে দিয়ে যা, মালগুলোকে তাক করে ছুঁড়ে মারি।
জাবালি আকাশের এক কোণে আধশোয়া হয়ে টুথপিক দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে কষানো পাঁঠার রোঁয়া বার করতে ব্যস্ত ছিলেন। চিটচিট প্যাচপ্যাচে বিরক্ত হয়ে হোসপাইপ নিয়ে কলকাতা তাক করে ঝেড়ে দিলেন।
ডাঁটাশঙ্কর, বামাপ্রসাদ আরাম পেলেন। কিন্তু চিটচিট প্যাচপ্যাচ গায়েব হয়ে যাওয়ায় ঝগড়াটা নেতিয়ে গেল। তা'তে দু'জনেই আন্তরিক মন খারাপের শিকার হয়ে খুচরো হাতে অটোর লাইনে দাঁড়ালেন।
No comments:
Post a Comment