গুলিয়ে যাচ্ছে। গোল গোল গোল অথচ স্পষ্ট চক্কর কেটে যাওয়ার কথা কিন্তু এদিকে কম্পাস সেন্টার থেকে চলকে সরে যাচ্ছে। ফলত খাতায় ফুটে উঠছে ভাঙা চুড়ির অর্ধচন্দ্র।
অবিনাশ মিত্রর সমস্ত গুছিয়ে বলাগুলো একটা প্রকাণ্ড ডিম পাকিয়ে ছিল গলার কাছে। একটা পরিপূর্ণ ফিনিক্স উগড়ে দেওয়ার কথা ছিল। অথচ আচম্বিতে আলতো ঠোকায় কোন মুসাফির সে ডিমের মাথায় ছোট্ট জানালা খুঁড়ে ফেলেছে। সাজানো সদ্যজাত চিন্তাগুলো, চিড়বিড়ে সসপ্যান জুড়ে; হেরো অমলেট চিহ্ন বাগিয়ে আহত পদযাত্রায় বেরিয়েছে।
সব গেল। সব।
মৃণালিনী ইতিমধ্যে ফিঙ্গার বোলের দাবি পেশ করে ফেলেছে। অবিনাশ জানে অনতিদূরে তার পকেটের ডেবিট কার্ড গলা খাঁকড়ি দিয়ে সমাপ্তি গাইবে।
অবিনাশ নিয়ম মেনে নিজে নিজের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে। নিজের ভিতরটা তার মেঝে জুড়ে ছড়িয়ে রাখা রঙ, তুলি, ক্যানভাস আর বেয়াদপ প্রতিবেশী বেড়ালের আড্ডামহল। অবিনাশ নিজের মধ্যেই ঠোঙার ফোঁকর হয়ে মিলিয়ে যাচ্ছিলেন।
"সব ছাড়ব মৃণালিনী। সব। সব ছেড়ে তোমার শাড়ির কুঁচি ধরব। পাটে পাটে জ্যামিতির শ্লেষোক্তির মত। তোমার অফিসের নিচে ধর্ণা দেব। প্রতিবাদি পোস্টারের মত মেলে ধরব সাড়ে ছ'টার শোয়ের জোড়া টিকিট। মাসকাবারির লিস্ট তোমার, থলে বইব আমি। সব ছাড়ব"।
মৃণালিনী স্নেহতরবারি, সে বিঁধবেই। সে "আজ আসি বাবু "র লেজে ঝুলিয়ে দেবে "কিছু বলবি?" ব্র্যান্ডের এক থলে চকোলেট বোমা।
অবিনাশ মিত্র কুঁইকুঁই আকুতিতে নোয়াবে কলজে;
"না না। বলার তেমন কী আর। একদিন দ্যাবাদেবি চলে আয় না আমাদের ফ্ল্যাটে। অদিতি দারুণ ফিশফ্রাই ভাজে"।
No comments:
Post a Comment