পাঁচ নম্বর সিঁড়িটা জলের এক ইঞ্চি নিচে, গোড়ালি ভিজিয়ে দাঁড়ানো যায়। ছয় নম্বর দেখা যায়, সাত আবছা, আটে কালচে সবুজ অস্পষ্টতা। নয়, দশ, এগারো অন্ধকারে।
পিচকাই বারো ছুঁয়ে ভেসে যেত। শ্যাওলা সবুজ জল চিরে মাঝপুকুরের টলটল। ছপছপ ছপ্পর। ওপারে পানা।
পিচকাই। মায়ের মুখ বসানো, গায়ে ঘাসপুকুর গন্ধের পিচকাই।
এমন একটা বিদঘুটে নাম। তবে আড়াই বছর বয়সে কী আর এমন তালেবর নাম ভাবা যায়? মৃণ্ময়ী? অনিন্দিতা?
আড়াই বছরের ছোট বোনের নাম তাই পিচকাই।
এমন একটা বিদঘুটে নাম। তবে আড়াই বছর বয়সে কী আর এমন তালেবর নাম ভাবা যায়? মৃণ্ময়ী? অনিন্দিতা?
আড়াই বছরের ছোট বোনের নাম তাই পিচকাই।
পিচকাই অল্প বয়সে শাড়ি পরতে পারত। দু'টো বিনুনি ঝুলিয়ে টপাটপ অঙ্কের হিসেব সাবাড় করতে পারত; সে দাদার মত ক্যালকুলাস বেকুব নয়।
অবিকল মায়ের মুখ বসানো। নরম ছায়া। নরম তোষক বালিশে পড়ন্ত দুপুরের রোদ মাখানো সুবাসের পিচকাই।
"দাদা, সার্কাস দেখাতে নিয়ে যাবি?"র পিচকাই।
"দাদা, তুই একটা অখাদ্য"র পিচকাই।
"দাদা, আমি এখনই বিয়ে করব না"র পিচকাই।
"দাদা, তুই একটা অখাদ্য"র পিচকাই।
"দাদা, আমি এখনই বিয়ে করব না"র পিচকাই।
এত কিছু করতে না পারার পিচকাই।
মরতে না পারার পিচকাই।
জন্মাতে না পারার পিচকাই।
মায়ের কান্নার পিচকাই।"সে জন্মালে আজ তার বিয়ে দিতে হত"র পিচকাই।
পিচকাইয়ের না থাকার পিচকাই।
মরতে না পারার পিচকাই।
জন্মাতে না পারার পিচকাই।
মায়ের কান্নার পিচকাই।"সে জন্মালে আজ তার বিয়ে দিতে হত"র পিচকাই।
পিচকাইয়ের না থাকার পিচকাই।
মায়ের আবডালে থাকা না-মায়ের পিচকাই।
মনে মনে গেঁথে নেওয়া অবিকল মায়ের মুখ বসানো পিচকাই।
No comments:
Post a Comment