দ্রৌপদিও গেল। দ্রৌপদিও গেল।
যুধিষ্ঠিরের মাথায় হাত। ভীমের দাঁত কিড়মিড়। অর্জুনের হাত কামড়ানি। নকুলের মাথা চুলকানি। সহদেবের হাই তোলা।
দুঃশাসন আবদার করে দুর্যোধনের কানে কানে বললে "দাদা গো, আমি তবে যাই? বৌদিদি...থুড়ি...পাঞ্চালী দাসী কে হিঁচড়ে টেনে আনি? যাই? খেলা তো শেষ। তাঁকে ধরে এনে একটু পাণ্ডবদের কাছায় টান দিই তবে?"।
দুর্যোধনের মুখে তখন বাঁকা হাসি, "রোক্কে ভাইটি রোক্কে। যুধুদাদা সব এখনও হারেনি। এখনও হারেনি। দাদাটি চাইলেই এখনও খেলা চলতে পারে"।
হই হই রই রই পড়ে গেল সভা জুড়ে। যুধিষ্ঠির এখনও সব খোয়াননি তবে? কী রয়েছে বাকি?
"কী বলছ ভাই দুর্য? সবই তো হেরে গেলাম!", যুধিষ্ঠির তখন ভাজা মাছ দেখলে নিজে উলটে যাওয়ার উপক্রম করতে পারেন।
শকুনির দিকে চোখ টিপে এবার জ্যেষ্ঠ গান্ধারী পুত্র যুধিষ্ঠিরকে বললেন, "কই দাদাভাই, মানিব্যাগে যে ইন্ডিয়া পাকিস্তান ম্যাচের ইডেন টিকিটটা রাখা আছে, এবার সে'টা তবে পাশায় চড়ানো হোক"।
"ও কী কথা ভাইটি। ইডেনে পাকিস্তান ম্যাচ, সে টিকিট জুয়ায় দেব? ধর্মে সইবে না যে ভাইটি। বাজে কথায় কাজ নেই। ও'সব মন্দ দিকে মন দিও না বাবা দুর্যো। যাও তো ভাই দুঃশাসন, বৌদিকে ডেকে নিয়ে এসো দেখি। দুর্যোধনের খালি অকাজের কথা"।
No comments:
Post a Comment