পুঁচকে ছোকরা। তার অধ্যবসায় দেখলে ভির্মি খেতে হয়।
এক হাজার তিনশো সাতাশ বছর আগের সেই হিমেল সন্ধ্যেয় তপস্যায় বসলে ব্যাটাচ্ছেলে; এখনও ধ্যান ভাঙার নাম নেই।
ব্রহ্মা কত করে আকাশবাণী ভাসিয়ে দিলে ; "বাপু, কলি পেরিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুগ আসতে চলল। এখন এ'সব তপস্যা-ফপস্যা করে লোক হাসিয়ে কী লাভ?"।
ছেলের তবু তপস্যা বন্ধ করার নাম নেই। সে তপস্যার এমন তেজ যে ছোকরার বয়সও বাড়ে না।
মেনকাকে টু পিসে পাঠিয়ে লাভ হল না।
হনি সিংহের গান বাজিয়ে লাভ হল না।
মেগাসিরিয়াল চালিয়ে দিয়ে লাভ হল না।
ছেলে তপস্যায় মগ্ন। খিদে নেই, তেষ্টা নেই, ভোট দেওয়ার চিন্তা নেই; মাথায় দেড় মাইল লম্বা জটা আর গায়ে হাফ-এভারেস্ট ধুলোর পরত।
ব্রহ্মা বুঝলেন আর উপায় নেই। এ ছেলে অতি বড় গাম্বাট। অবতীর্ণ হতেই হল ছোকরার সামনে।
- হয়েছে হয়েছে, অনেক হয়েছে। কী ডিমান্ড এবার বলো দেখি চাঁদু।
- ব্রহ্মা! হে পিতা!
- অত আদেখলামোর কী আছে! বলো! ডিমান্ড বলো।
- ডিমান্ড?
- ও! তুমি তো আবার হাজার বছর পুরনো চিজ। ট্রেড ইউনিয়ন যে এদিকে কতটা ফুলেফেঁপে উঠেছে সে খবর তো রাখনি, রাখলে বুঝতে। যাক গে। ডিমান্ড...ইয়ে মানে...কী বর চাই বলো। ওহ। তার আগে শুনি তোমার নামটা কী?
- আমার নাম শ্রী বাস টিকিট।
- বাস টিকিট? বাহ। বেশ বেশ। তা বাবা বাসটিকিট, কী বর চাই? বলে ফেলো! যা চাইবে তাই পাবে।
- হে পরমপিতা। আশীর্বাদ করুন। যেন শেষ স্টপেজে নেমে যাওয়ার আগে অতর্কিতে; বুকমার্ক হতে পারি।
No comments:
Post a Comment