"সিগারেট ধরাতেই মন্টুবাবুর মাথার ভার ভাবটা কেটে গেল"।
"এক মিনিট। এক মিনিট। মন্টু চক্কোত্তির মাথা তো বইয়ের র্যাকের ডান দিকে রাখা ছিল"।
"তাতে কী? সিগারেট ধরানোয় বাঁধা কোথায়?"।
"ধরালোটা কে?"।
"মন্টুবাবুই। ওভারের মাঝে বিজ্ঞাপন যেই শুরু হল, অমনি সোফা ছেড়ে উঠে গিয়ে মুণ্ডুর মুখে গোল্ডফ্লেক গুঁজে জ্বালিয়ে এলেন"।
"নাহ! ফাঁক আছে। মুণ্ডু ছাড়া টিভি দেখছিলেন কী করে মন্টুবাবু?"।
"ডান চোখটা অনামিকায় পরছেন ক'দিন হল। নীলাটা সুট করছিল না। জ্যোতিষ সম্রাট অমিয়কুমার দত্তই রেকমেন্ড করেছেন"।
"কিন্তু..."।
"তাতেও খটকা?"।
"একটাই। কান দু'টো তো বইয়ের র্যাকেই ছিল। মাথার সাথে"।
" ইচ্ছাকৃত। আজকাল ক্রিকেট কমেন্ট্রির অবস্থা তো জানোই। রিচি বেনোরর যুগ শেষ। মাইক্রোফোনের রাজ্য রিচ ইন বেনো জল"।
"অ। কিন্তু..."।
"ফের কিন্তু?"।
"না মানে...র্যাকে রাখা মাথা ভার হল কেন?"।
"আর বল কেন! বইয়ের র্যাক না পড়া কেতাবে ভরা। জাস্ট ফর শো। এদিকে ঠ্যাং তখন সোফায় বসে নাচানাচি করছে, সরে পড়ার উপায় নেই। মাথা চুলকে সোয়াস্তি যে পাবেন; সে গুড়েও বালি। হাত দুটোই সোফায় লেতকে"।
"সব্বনাশ"।
"আবার কী?"।
"মন্টুবাবুর র্যাকে রাখা মুখে সিগারেট অথচ হাত তো সোফায় বসে ওভারবাউন্ডারিতে তালি দিচ্ছে। ছাই ফেলবে কে?"।
"যে বইয়ের র্যাক থেকে বই নামিয়ে পড়া হয় না সে র্যাক অ্যাশট্রে বই তো নয়"।
"ঠিক। বেশ। এবার স্পষ্ট হল"।
No comments:
Post a Comment