Friday, March 11, 2016

মহাভারতেস্ক


জরাসন্ধ ডান হাতে কলিং বেল বাজালেন।
আর বাঁ হাতে ছিটকিনি খুলে বললেন
"আসুন আসুন"।


ভীমের কিনা মোটা মাথা। কিছুতেই ডেসিমালের অঙ্ক বুঝতে পারছিলেন না। মাথা চুলকে একাকার।

যুধিষ্ঠির বুঝলেন প্র‍্যাক্টিকাল ডেমোন্সট্রেশন ছাড়া জমবে না। তাই তিনি হাঁক পাড়লেন
"নকুল, সহদেব; ইধর আও"।


একলব্যের তখন অনেক বয়স। এই আশি বিরাশি। বিরানব্বই হলেও আপত্তি করা যায় না। দ্রোণ স্বপ্নে দেখা দিয়ে তার পিঠ চাপড়ে দিলেন।

"যা হোক। এখন তোর নয় নয়টা বুড়ো আঙুল। নো হার্ড ফিলিংস প্লিজ"।


কুন্তী সেবার ভ্যানিটি ব্যাগে  সানস্ক্রিন লোশন রাখতে ভুলে গেসলেন। রথের চাকার সে কী হাসি।

ভীম-হিড়িম্বাকে নিয়ে আর চার ভাই বাড়ি ফিরলেন।

নক্ করে যুধিষ্ঠির বললেন "দ্যাখো দ্যাখো মা কী এনেছি"।

কুন্তী টেম্পলেটে ঝেড়ে দিলেন "যা এনেছো ভাগ টাগ করে নাও নিজেদের মধ্যে"।

অমনি যুধিষ্ঠির চেঁচিয়ে উঠলেন "মা হয়েছে মানে কি মাথা কিনে নিয়েছ?"।

অর্জুন বললেন "ডিভিশনের জন্যই অঙ্ক ছেড়ে ধনুকে কনসেন্ট্রেট করেছিলাম"।

নকুল সহদেব দু'জনেরই নাকি তখন বেজায় পেট ব্যথা; বিকেলের তেলেভাজাটা সহ্য হয়নি।

শিশুপাল জম্পেশ খিস্তির ফ্লোতে ছিলেন। চাড্ডি,
সিকিউলার, লিবটার্ড, জর্দা, চাইনিজ; কোন কিছুই বাকি রাখছিলেন না।

মাঝখান থেকে কেষ্টা ব্যাটাচ্ছেলে লজিকের সুদর্শন মাঠে নামিয়ে দিলে সব মাটি করে।

"হেয়ার মাস্ক লাগানো হচ্ছে না অনেকদিন", দুঃখ করছিলেন পাঞ্চালী।
দুঃশাসন বললেন "অর্গানিক মাস্ক ট্রাই করেছ কি বৌঠান?"।

No comments: