- কী!
- কী কী?
- বলি আইডিয়াটা কীসের?
- ওহ্। আইডিয়া।
- নয়তো রাত দুপুরে ঘুম ভাঙিয়ে দেখা করতে এলে কেন? ঈশ্বরের দোহাই, যদি এপ্রিল ফুল বলো তাহলে পিঠের চামড়া তুলে নেব।
- আহ্! বড় বদ মেজাজ তোমার। আর কথায় কথায় ঈশ্বরের দোহাই টেনো না।
- ব্যাপারটা কী বলো তো?
- ঈশ্বরের বার্তা জনে জনে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন বুদ্ধি মাথায় এসেছে।
- বল কী! আরও বেশি বেশি মানুষ নিকেশ করা যাবে?
- এই করে তুমি ধর্মগুরু যে কী করে বনলে ভাই! মানুষ নিকেশ আবার কী ধরণের ভাষা?
- থুড়ি। এই নতুন টেকনোলজিতে আরও বেশি বেশি মানুষের কাছে ঈশ্বরের বার্তা পৌঁছে দেওয়া যাবে?
- অনেক বেশি মানুষের কাছে। ঝ্যামেলাও কম। মুনাফাও রয়েছে।
- ঈশ্বরের বার্তা ছড়িয়ে পড়বে,ঝামেলা কম হবে, তারপর আবার মুনাফা?
- মুনাফা। দু'হাত দু'পকেট ভরা মুনাফা।
- আইডিয়াটা কী ভাই? নতুন ধরণের বোমা কিছু?
- ফুঁ:! ও'সব তো আজকাল ওয়াটার অ্যান্ড রাইস।
- আরও বীভৎস ল্যান্ডমাইন? কেমিক্যাল ওয়েপন?
- মাথা মুটিয়ে গেছে গো তোমার। ফল বাদাম খাও।
- আরও ভয়ঙ্কর?
- সঙ্গে মুনাফা।
- আর সাসপেন্স রেখো না ভাই। বলে দাও। ঈশ্বরের দোহাই।
- ফের দোহাই?
- বলো না! প্লীজ! মানুষ নিকেশ...থুড়ি...ঈশ্বরের বার্তা বিলির খতরনাকতর উপায়। সঙ্গে প্রফিট। সে'টা কী?
- ওভারব্রিজ বানানোর ব্যবসা!
- হোয়াট?
- বালিতে জল। গুড়ে বালি। ধস্স্স্স্স্স্স্স্। মানব বোমা হয়ে ফেউ ফেউ করে ঘুরবার ঝামেলা নেই। খুকুদের দোলনার নিচে বোমা বাঁধার হ্যাপা নেই। লার্জ স্কেল সলিউশন। কিলো কিলো মানুষ চালান দাও, দলা পাকিয়ে বের করে আনো। ঈশ্বরের বার্তাও ছড়াল, পকেটও ভরল। অল ইন আ অ্যাক্ট অফ গড!
- অপার্থিব!
No comments:
Post a Comment