টাকা জমানোর সেই জমকালো ঘটখানা বড় প্রিয় তাঁর। হাটবাজার থেকে কেনা দুপাঁচ টাকার সস্তা মাটির ঘট নয়, এ ঘট রীতিমত সোনা দিয়ে বাঁধানো। গায়ে নিঁখুত কাজ। হীরে, চুনি, পান্না; কত কী বসানো। সর্বক্ষণ ঝলমল করছে।
তিনি মাঝেমাঝেই নিজের লুঙ্গি টেনে পালিশ করে নেন ঘটখানা। ঘটের ঝিলিক এসে পরে তাঁর হাসিতে। শুধু দুঃখ একটাই; টাকা জমানো আর বড় একটা হয়ে ওঠে না। শয়ে শয়ে বড় নোট ঘটে গুঁজে রোয়াব দেখানোর দিন গিয়েছে। আজকাল কখনও কোনদিন নসীব হলে ঘটে পড়ে আট আনা। গোটা টাকার নোট বা কয়েন প্রায় পড়েই না, পড়লেও মাসে একটা কী দু'টো।
ঘটের ভিতরটা খাঁখাঁ করে।
অল্প কিছু টাকার মৃদু ছনছনটুকুই আয়েশ করে শুনে নেন তিনি। সে আয়েসেই মাঝেমধ্যে ঘটের গায়ে নিজের মেজাজি হাত বুলিয়ে নেন আলিমুদ্দিনবাবু।
No comments:
Post a Comment