বাস থেকে নামতেই অঘোরবাবু টের পেলেন পকেটের মানিব্যাগ হাওয়া। অবশ্য কত টাকাই বা ছিল সে'টায়।
**
বুকের ধুকুরপুকুর থামতেই চাইছিল না মৃণালের। প্রথম চেষ্টাতেই কিস্তিমাত। আনন্দে ভেসে যেতে চাইছিলে সে। অবিশ্যি বাসের অফিসটাইমের ভিড় কাজটা সহজ করে দিয়েছিল অনেকটা। দু'পায়ে দাঁড়ানোটাই যেখানে চ্যালেঞ্জ, পাশের লোকের মুখটাই যেখানে দেখা দায়; সে'টাই তো আদর্শ পিকপকেটিও পরিবেশ। বারোর সি বাই দুই রুটেই কাল ফের বেরোবে বলে মনস্থ করলে সে।
**
সকালবেলা পাঞ্জাবিটা গায়ে গলাতেই চমকটা টের পেলেন অঘোরবাবু! ডান পকেটে দিব্যি মানিব্যাগের ওজন। তবে কি পকেটমারে ব্যাপারটা উনি ভুল বুঝলেন? তবে কি পকেটে মানিব্যাগটার উপস্থিতি এমন বেমক্কা ভাবে টের পাননি তিনি? তবে দু'শো বাইশ টাকা ফেরত পেয়ে মন্দ লাগছিল না তার, স্মৃতি বিভ্রমটা বিশেষ গায়ে মাখলেন না অঘোরবাবু।
**
- হ্যাঁ রে মিনু, গোটাদিন থাকিস কোথায়? চেহারার কি অবস্থা হয়েছে দেখেছিস?
- কতবার বলেছি বাবা, পার্টির কাজ। দু'পয়সা আসছে তো।
- কী যে করিস, তুইই জানিস।
- বলছিলাম বাবা, ভিড় বাসে রোজ যাতায়াত না করে অটো ধরে যেতে পারো তো।
- বাড়তি পাঁচটাকা খরচ...।
- হোক না, আমি কিছু টাকা আয় করছি তো। বারোর সি বাই দুই এবার তুমি ছাড়ো। এ বয়েসে অত ভিড় সহ্য করার মানেই হয় না।
- কিন্তু...।
- কোন কিন্তু নয়...তোমার অটো খরচ আমি দেব।
- তুই সত্যিই আয় করা শুরু করেছিস মিনু?
No comments:
Post a Comment