শনিবারের হাফ অফিসের শেষে বিপ্লব সমাদ্দারের হাফ শার্টের আড়ালে হাফ ডানা গজায়। অবশ্য তার হাঁটাচলায় অল্প উড়ুউড়ু ভাবটা অফিসপাড়ার ভিড়ের মধ্যে কেউ ইন্টারসেপ্ট করতে পারে না।
উইকেন্ডের প্রতি সমীহটা বিপ্লববাবুর মজ্জাগত।
বিকেল চারটে নাগাদ অফিস থেকে বেরিয়েই অজিতের দোকান থেকে একটা গোল্ডফ্লেক। সপ্তাহে ওই একটাই। সামান্য ইনডালজেন্স। বিপ্লববাবু বিশ্বাস করেন যাদের নেশা নেই তাদের উইকেন্ডে ধক্ নেই।
বয়স থাকতে বার দু'য়েক টু পাইস এক্সট্রা খরচ করে বারে ঢুঁ মেরেছেন বিপ্লববাবু, তবে মদের নেশা বয়ে হাওড়া থেকে ভিড় কাটোয়া লোকালে ওঠাটা যন্ত্রণাময়। গত সাতবছর ধরে শনি-সিগারেটের আখরি সুখটান ঝেড়ে ফেলে বিপ্লবপবাবু রিমিকিঝিমিকি মেজাজে এসে দাঁড়ান সুখলাল কচৌরিওলার কাছে। সেখানে ছয় পেগ কচুরি সাথে ডাল-সবজি আর জিলিপির চাখনা।
হাওড়া স্টেশন থেকে সেই কদ্দিন আগে কেনা হিন্দি গজলের বাংলায় লিরিক্স লেখা বই। সেখানে একশো একটা গজল ছিল, বেশির ভাগই জগজিৎ সিংহ বা পঙ্কজ উদাসের গাওয়া। এদ্দিনে প্রতিটা গানই তাঁর প্রায় মুখস্ত। কচুরির সাথে থাকে বিপ্লববাবুর গুনগুন "হম তো হ্যায় পরদেশ মে, দেশ মে নিকলা হোগা চাঁদ"।
এক কচুরি শেষে অন্য কচুরিতে কামড় পড়তেই আসে নতুন গজল; কখনও জিলিপির কামড়ে মিশে যায় ইম্প্রোভাইজেশন;
"এক তুহি ধনবান হ্যায় কচৌরি, বাকি সব জঞ্জাল"।
No comments:
Post a Comment