নবরত্ন তেল দিয়ে পাড়ার সেলুনে মাথা মাসাজ করাচ্ছিলেন দত্তবাবু।
বিধুর হাতের তালু আর আঙুলে তালবোধ আছে, মাথা থেকে আরাম উপচে ঘাড় বেয়ে নেমে আসে।
প্রত্যেক শনিবার সন্ধ্যের রুটিন।
দত্তবাবুর শুধু মনে হয় বিধুর বডি আর দুই হাতের সঙ্গে মাথাটাও যদি আসতো এ পোড়ো সেলুনে, তবে বেশ হতো।
ওদিকে বিধুর আবার ঘোর আফসোস, দত্তবাবু শুধু নিজের ঘাড় মাথা নিয়েই দুলতে দুলতে হাজির হন ফি শনিবার। বডি আনলে কী এমন ক্ষতি হত? মালিশ করতে করতে ঘাড় থেকে দিব্যি পিঠে নেমে আসা যেতো।
**
নিমতলা বাজারের স্টাইলিশ জেন্টস সেলুনের মালিক বিধু দত্ত রেলে এমন ভাবে কাটা পড়েছিলেন যে মুণ্ডু উড়ে পড়েছিল দেড়শো মিটার দূরে। ফলে সে মুণ্ডু খুঁজে পাওয়া যায়নি, চিতায় চড়েছিল মুণ্ডুলেস ধড়।
**
শেষ কাস্টোমারের খেউরি করে মাথা মালিশ করছিলেন বিধু দত্ত, তখনই বুকটা হুহু করে উঠলো।
"আহা, কেউ আমায় যদি এমন নবরত্ন তেল দিয়ে মালিশ করে দিত হপ্তায় একবার। এমনটাই। যত্ন করে"।
বুকের হুহু তাড়িয়ে মালিশে মন দিলেন বিধু দত্ত। আজ সকালে আবার তাড়াহুড়োয় বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় টর্চটা ফেলে এসেছেন তিনি, ফেরার সময় অন্ধকার রেলগেট পেরোতে বড় ঝকমারি।
1 comment:
Story r o body ta age , mundu ta last e
Post a Comment