একদিন হয়েছে কী, ফাইনডাইনিঙবাবু রাস্তায় হাওয়া খেতে
বেরিয়েছেন। মাথায় হ্যাট। গায়ে কোট। হাতে চুরুট আর পকেটে ন্যাপথলিন।
ও মা।
হাওয়া খাবেন কী? গাছের একটা পাতাও নড়ছেন না। চারদিকে থমথম।
আধ-মাইল হেঁটে জিভ বেরিয়ে এলো বাবুর।
কোটের ভিতরে গেঞ্জি ভিজে গামছা। বাবু বিচলিত।
বাবুরা বিচলিত হয়ে থাকেন,
কিন্তু তাই
বলে মচকাতে পারেন না। বাবু পকেট থেকে বার করলেন ইয়েলোপেজেস হাই সোসাইটি পকেট
এডিশন। তা'তে দিব্যি লেখা আছে যে গঙ্গার ঘাটে এ’সময়
প্রচুর পরিমাণে হাওয়ার মিঠে ফুরফুর।
ব্যাস। অমনি বাবু জুড়ীগাড়ি হেঁকে চলে এলেন গঙ্গার ধারে।
ওমা।
হাওয়া খাবেন কী? ঘাটে ঢোকার মুখে কৌপীন পরে প্যাকাটি মার্কা
চেহারার বেয়ারা দাঁড়িয়ে।
- রুকো বাবু! আপনার ঘাটে যাওয়া বারণ!
- বারণ করার তুই কে রে নেংটি?
- বারণ।
- আইনে আছে? আইন দেখা।
- আইন আবার কী? বলছি তো।
আপনার ঘাটে যাওয়া বারণ!
- জানিস আমি কে? আমি
ফাইনডাইনিঙবাবু।
- বারণ।
- আমি মামলা করব।
- বারণ।
- আমি দারোগা লাগাবো।
- বারণ।
- আর্রে ধ্যের। যেতে দিবি না কেন?
- আপনার জাঙ্গিয়ায় ফুটো আছে।
- মিথ্যে কথা।
- বারণ। কোট, চুরুট আর জাঙ্গিয়ায় ফুটো নিয়ে গঙ্গার ঘাটে যাওয়া বারণ।
- প্রমাণ কর হারামজাদা। যে আমার জাঙ্গিয়ায়
ফুটো।
- প্যান্টালুন খুলে নেব?
- আমি সরকার বাহাদুরকে বলে গঙ্গার ঘাট সমেত
তোকে হাজতে পুরব।
- বারণ। ফাইনভদ্রতার চৌহদ্দিতে
জাঙ্গিয়াফুটো-ফাইনডাইনিঙবাবুদের ঢোকা বারণ। বারণ।
No comments:
Post a Comment