ভোর তুলতুল করছে হাওয়ায়। খুব ধারালো কান পারে সে মিঠে হাওয়ার মৃদু ফরফরের আমেজ গলায় বুকে জড়িয়ে নিতে। আলতো ভেজা ঘাসের আরামে ডুবে যায় দু'জোড়া গোড়ালি।
শ্যাওলা পাঁচিলের আবডালে সবুজ এক ফালি হাসির জংলা জমি। পেল্লায় বাড়িটার পিছনে এ'দিকটায় কেউ বড় একটা আসে না।
শুধু ভোর আলো করা খিলখিল নিয়ে এদিকটায় এসে দাঁড়ায় দিদা আর দিদার আঁচল চিবুনো খুকি।
খুকি নতুন পুজোর নতুন জামা ভালোবাসে না। "ক'টা জামা হল" বলে গাল টিপুনি খুকিকে বিরক্ত করে। খুকি ভিড়ে হাঁপায়, খুকি বেলুনে আদর চিনলে না আজও।
খুকি চেনে দিদার গন্ধমাখা শিউলির ঝাঁকড়া গাছখানা।
তালপাতাইয়া হাত জোড়ার হুল্লোড়ে সে গাছ ঝাঁকিয়ে লুটিপুটি হয় খুকি। খুকি আর দিদার গা মাথা জুড়ে ঝরে পড়ে শিউলির ইলশেগুঁড়ি। সবুজে সবুজের মাঝে দুই বোন, গা মাথা শিউলি সুবাসে ভেজা।
ভোর রোদে উবে যায়।
উবে যায় পুজো। আবছা হয়ে আসে শরৎ।
দিদার আঁচল না চিবুলে শিউলি গন্ধ চিনতে পারে না খুকি। সে না চেনার যে ছুরি কুপিয়ে মারে পুজোর ভোরগুলো।
খুকি আই-আর-সি-টি-সিতে পুজো পালানো টিকিট খুঁজে বেড়ান।
1 comment:
khuki eka na..khoka o ache, pore valo laglo.
Post a Comment