রাত বারোটা কুড়ি নাগাদ উঠেছিলেন সামন্তবাবু। ডায়াবেটিসে এই এক অসুবিধে।
ঘুম মাখানো চোখে বারান্দায় এলেন তিনি, বারান্দার ও'পাশে বাথরুম।
থমকে গেলেন বাথরুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সাদা থান গায়ে জড়ানো মহিলার দিকে তাকিয়ে। বারান্দার আলোটা অল্প পাওয়ারের। সে ঘোলাটে আলোয় সেই থান জড়ানো মহিলাকে দেখেই বুক হিম হয়ে গেল সামন্তবাবুর। এমন বিধবা তো এ বাড়িতে কেউ নেই। ভূত? উফফ!
চোখ রগড়ে নিলেন, তবুও সে মহিলা স্থির দাঁড়িয়ে। গলা শুকিয়ে আসাটা বেশ টের পাচ্ছিলেন সামন্তবাবু। ঠিক তখনই মহিলার ফ্যাকাশে সাদা মুখটা নজরে এলো। চেনা, বড্ড চেনা। সে মুখে যেন একরাশ ভয় আর আতঙ্ক জমে আছে।
"ওহ হো। ও'টা তো নীলিমা", সামন্তবাবুর স্বস্তি পেয়ে আপন মনে বলে উঠলেন, "আহা, এই সবে তিনদিন হলো বেচারি বিধবা হয়েছে, তাই খেয়াল থাকে না। নিজের বৌ বলে বলা নয়,নীলিমার মত মেয়ে হয় না। তবে আনন্দের খবর এই যে ডায়াবেটিসের দুশ্চিন্তাটা গেছে তাহলে। বাথরুমের দিকে রাতবিরেতে হেঁটে যাওয়াটা স্রেফ বাতিক হয়ে দাঁড়িয়েছে"।
No comments:
Post a Comment