- খোকা! মন দিয়ে দেখো। আমার হাতে এ'টা কী?
- কয়েন।
- গুড। কত টাকার?
- এক টাকা।
- ভেরি গুড। এবারে হিং টিং ছট। এ'টা কী?
- আইব্বাস! দু'টাকার কয়েন। এ'টা কী করে হল?
- ম্যাজিক।
- আবার দেখাও।
- হিং টিং ছট। এবারে কী দেখছ?
- দারুণ! পাঁচ টাকা! আবার দেখাও!
- হিং টিং ছট!
- ও কী! কয়েন গেল কই?
- তোমার পায়ের কাছে দেখো খোকা!
- আরিব্বাস! আমরা একটা কয়েনের ওপর দাঁড়িয়ে! আরিব্বাস রে! ইয়াব্বড় কয়েন! দশ টাকার!
- আরও দেখবে? ম্যাজিক?
- হিং টিং ছট।
- এত অন্ধকার কেন কাকু?
- ম্যাজিক।
- এ'টা কি পাহাড়? কাকু?
- খুচরোর পাহাড়। কত কয়েন স্তুপ হয়ে পড়ে খোকা। আর তার ওপর তুমি!
- আমার ভয় করছে। এত অন্ধকার কেন? পাশে ওগুলো কী কাকু? ক...কঙ্কাল?
- আরও দেখবে? ম্যাজিক?
- না, আমি ফিরব।
- ম্যাজিক দেখা শেষ? বেশ। কিন্তু আমি ম্যাজিশিয়ান, ম্যাজিক শেষ হলে যে আমার কাজও শেষ।
- কাকু! কাকু! কই তুমি?
**
খুচরোর ঘটের ঝনঝনে তৃপ্তি পান সোমেনবাবু! তেমন টাকা আর জমানো হল কই! খুচরোপাতি ছাড়া সঞ্চয় বলতে আর কিছুই রইল না। জন্মদিন মুখেভাতে ম্যাজিক দেখিয়ে ক'পয়সাই বা আসে।
তবে ওই ঘটটাকে আঁকড়ে রাখেন সোমেনবাবু। পিসি সরকারই যে শেষ কথা নয়, সে কথা বাঙালি বুঝবে না। অখাদ্য অসভ্য জাত।
পরশুরাম ক্ষত্রিয়দের প্রায় সাফ করে এনেছিলেন। অযোগ্য জাতির একটা প্রজন্মকে খতম করতে ক'দিন লাগা উচিৎ? সোমেনবাবু ম্যাজিকে তুখোড়, অঙ্কে নন।
1 comment:
spine tingling ভাবে অসাধারণ
Post a Comment