চারদিকে খচরখচর।
প্রমোশনের জন্য এ ওর ঠ্যাং ধরে হকি খেলে চলেছে।
বাসের সীটের জন্য এ ওর পা মাড়িয়ে চোয়াল কিড়মিড় করে চলেছে।
দরদামের টানাটানিতে ক্রেতা বিক্রেতা দরদরিয়ে ঘেমে বিরক্তির দরিয়ায় বয়ে চলেছে।
পলিটিকাল খিস্তিখেউরে, লাল-সবুজ মিলেমিশে উলুখাগড়াদের পিঠ ঘামাচিতে ভরে যাচ্ছে।
বৌ ভাবছে বর মিচকে, বর ভাবছে বৌ বাতিকগ্রস্ত।
বাপ ভাবছে ছেলে বখে যাচ্ছে, চাবকানো দরকার। ছেলে ভাবছে 'পুওর ওল্ড চ্যাপ, ইগনোর করো'।
মা মেয়ের এসএমএস ইনবক্স ঘেঁটে বন্ড হতে চাইছেন।
মেয়ে ভাবছে 'বেচারি টিন্ডারের স্পেলিং জানেনা'।
টপাটপ যুদ্ধের জিগিরে মানুষ মৌরি-চমনবাহারের সুবাস পেয়ে চলেছে।
মাথায় কাঁঠাল ভাঙার শব্দে বাতাস হুহু।
এই গোলমালে।
এই কানে মনে বুকে ব্লেড চালানো মাতব্বরির যুগে।
এই ঝাপসায়।
রাত পৌনে একটার হাওয়ার নভেম্বরি ফুরফুর বিছানা। তার পাশে রাখা ছোট্ট টেবল।
সে টেবিলের ওপর রেডিও। ফিলিপ্সের। সাতপুরনো।
এই মচরমচর যন্ত্রণায় বোরোলিন স্নেহ বুলিয়ে যান তিনি।
এ' দগদগের যুগে নরম হয়ে ঝরে পড়েন।
এ' দাউদাউয়ের যুগে মিঠে হয়ে গলে পড়েন।
এ' মাতব্বরির যুগে বোতাম খোলা ফতুয়ার সাহসে ছাতে এসে দাঁড়ান।
ভালোবাসেন। রাখেন। ভালোবাসায়।
কাঁধে হাত রাখেন "এই যে"র আতর ঢেলে।
গেয়ে চলেন শ্যামল মিত্র;
"সেই বাসর নেই বাঁশরী নেই ভোর যে হয়ে গেলো"।
No comments:
Post a Comment