মন খারাপ হলেই ক্ষীরকদমের কথা ভাবা উচিৎ।
মানে। এই ধরুন। অফিসের বড়বাবু আপনার আত্মবিশ্বাসের কলার টেনে বাঁইবাঁই করে ঘুরিয়ে আছাড় মেরে চলেছেন। অথচ আপনি ভেবে চলেছেন মনোহর স্যুইটসের শোকেসের মাঝের তাকের ডান দিকে রাখা ট্রেতে থরে থরে সাজানো ক্ষীরকদমের কথা।
ধরুন। প্রকাশকের ফেরত দেওয়া পাণ্ডুলিপির এনভেলপ আপনার হেরো হাতে আর আপনি ভাবছেন সেই সাজানো ট্রে থেকে এক জোড়া ক্ষীরকদম আপনার দিকে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শালপাতার বাটিতে। ফেল মারা লেখকের চোখের জল ডায়লুট করে দেওয়া বন্যা তখন আপনার জিভে।
বা ধরুন মাথায় বাজ পড়া খটখটে দুপুরে প্রেমিকা জানালেন আপনি অখাদ্য, আপনার সাথে প্রেম করা আর ম্যাগি ইন্সট্যান্ট নুডলকে সিমুই ভেবে তার পায়েস রাঁধা একই ব্যাপার। তখন। ভাংচুর বুক অগ্রাহ্য করে আপনি কল্পনায় একটা অশ্লীল রকমের বড় কামড় বসিয়েছেন ক্ষীরকদমের নরমে। ভেসে যেতে গিয়েও আপনি ভেসে যাচ্ছেন না এই ভেবে যে আর যাই হোক, এ জীবনে আপমার চুমুর অভাব ঘটবে না কোনওদিন।
No comments:
Post a Comment