বাক্সের ডালাটা ভিতর থেকে ঠেলে তুলে উঁকি দিলেন অর্ণববাবু।
বাক্সের অন্ধকারে অভ্যস্ত অর্ণববাবুর চোখে বাক্সের বাইরে আলো পড়তেই মগজে ঝিলিক লেগে গেল। আলো সয়ে আসতে তিনি টের পেলেন যে বাক্সের বাইরে যে দাঁড়িয়ে আছে, সে আদতে একটা প্রকাণ্ড জলভরা সন্দেশ।
গা গুলিয়ে উঠল অর্ণববাবুর। কিছু একটা গোলমাল হচ্ছে। উলটো ঘটছে সবকিছু। আচমকা ঘোর কেটে গেল নিজেকে কাটা একটা চিমটিতে।
এ'বার নিশ্চিন্ত হয়ে অর্ণববাবু দেখতে পেলেন তার সামনের টেবিলে রাখা নিউ শ্রীকৃষ্ণ স্যুইটসের পেল্লায় বাক্স। আপ্লুত হয়ে সে বাক্সের দিকে হাত বাড়ালেন তিনি আর ঠিক তখনই...।
ঠিক তখনই মিষ্টির বাক্সের ঢাকনাটা আপনা থেকেই সামান্য খুলে গেল আর তার ভিতর থেকে উঁকি মারলে একটা কাচুমাচু মুখ যে'টা অবিকল অর্ণববাবুর মত দেখতে।
অর্ণববাবু টের পেলেন যে তার গোটা শরীরের সমস্ত মাংসপিণ্ডগুলো নিজে থেকেই বদলে গিয়ে কড়াপাকের নলেন সন্দেশে পরিণত হচ্ছে। মেঝেতে লুটিয়ে পড়ার আগে তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারলেন যে তিনি মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ছেন একটা জলভরা সন্দেশের মত করে।
No comments:
Post a Comment