রাত দু'টো পাঁচ নাগাদ রেডিওটা আপনা থেকেই চালু হয়ে গেল।
শ্যামল মিত্রর কণ্ঠ যে কী সুরেলা।
"ঘুম যখন আসছেই না, তখন অত কেরদানি মেরে পাশবালিশ জড়িয়ে লাভ কী"?
শ্যামল মিত্র রেডিও থেকে জিজ্ঞেস করলেন। অনুপবাবু ঠাহর করতে পারছিলেন না ভূতটা শ্যামল মিত্রের না রেডিও।
"রেডিওদের মারা যাওয়ার ব্যাপার থাকে না ভাই"।
ফের। শ্যামল মিত্র।
এ'বার ধড়মড়িয়ে উঠে বসলেন অনুপবাবু।
"কোন গান শুনবে? ফিল্মের একটা দিয়েই শুরু করি"?
অনুপবাবু হ্যাঁ বা না বলার আগেই শুরু হয়ে গেল
"জীবন খাতার প্রতি পাতায়..."।
ভয়টা কমে আসছিল। শ্যামল অন্তরার দিকে যেতে তিনি পা বাড়ালেন রান্নাঘরের দিকে। এক কাপ কফির দরকার।
অমনি। গান থেমে গেল।
"এ কী! চললেন কোথায়? বসুন। আর দু'টো গাই"।
" নাহ, এক কাপ কফি হলে বেশ হত"।
"কফিতে কী হবে? আমি তো ভূত"।
"না সরি, ইয়ে, আমার জন্য"।
"বোঝো, কখনও শুনেছেন ভূতের কথা ভূত না হয়ে কেউ শুনতে পেরেছে"?
"আজ্ঞে"?
"বসুন না। আরে নার্ভাস হবেন না। মরে যাননি। রাতে শোয়ার আগে রোজ নিউজচ্যানেল শুনে ঘুমোতে যান তো। তাই নিজের অজান্তেই নিজের ভিতরেই ভূত জেনারেট করে বসে আছেন। সেই ভূতের সঙ্গেই দিব্যি কমিউনিকেট করতে পারছি। আরে বসুন। বসুন। আপনার কফি নয়, সঙ্গীত দরকার। বৈঠিয়ে জনাব, বৈঠিয়ে। এবারে একটা ক্লাসিকাল ধরি, কেমন"?
No comments:
Post a Comment