দু'টো চায়ের দাম মিটিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে এলো অনিন্দ্য।
**
পাঁচশো বাইশ ভাঁড় বিক্রি হয়েছে। বাক্সে পাঁচশো তেইশ ভাঁড়ের দাম। কী মুশকিল। ক্ষুদিরাম সত্যি হিসেবে পাক্কা। চায়ের কাপ আর দাম গোনায় তার ভুল হয় না।
**
- এই খুনটা আমি করতে পারব না স্যার।
- তুমি করতে বাধ্য অনিন্দ্য। তোমায় আমি এমনি এমনি পুষি না।
- যদি খুনটা না করি?
- ভাড়াটে খুনি হয়ে অর্ডার রিফিউজ করবে?
- মেয়েটাকে আমি ছোটবেলা থেকে চিনি।
- মনে ব্যথা আছে?
- ও আমায় চেনে না।
- ওয়ান সাইডেড? ধ্যুর। বড় টাকার অর্ডার এসেছে। খুনের দোকান তোমার, একটা খুন বিক্রি করবে। ব্যাস।
- বিক্রির ইচ্ছে না থাকলে?
- না হলে... দোকানি হয়ে নিজের দোকানের মাল একবার না হয় টেস্ট করবে?
- থ্রেট দিচ্ছেন?
- যা ভাবার ভেবে নাও। এই খামে মেয়েটার ছবি আছে। কালকের মধ্যে খবর চাই। নয়তো নিজেকে খবর হতে হবে।
- নয়তো নিজের দোকানের মাল নিজেকে নিতে হবে?
- সে দামটাও আমিই চুকিয়ে দেবো না হয়। এবারে এসো।
**
একটা চায়ের দাম এক্সট্রা আছে যখন, এক ভাঁড় চা নিজের জন্য গড়িয়ে নেওয়াই যায়। ফিক্ করে হাসলেন ক্ষুদিরাম।
**
বাবলির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শুধু চাওলাটার কথা মনে পড়ছিল অনিন্দ্যর।
শেষ পর্যন্ত কেউ তো ব্যাটাকে চা খাওয়ালে। নিজের দোকানের চা। নিজের দোকানের মাল।
নিজের দোকানের মাল। মাইরি। তার স্বাদই আলাদা।
No comments:
Post a Comment