- সাড়া দাও।
- ....।
- সাড়া দাও, সাড়া দাও।
- ...।
- সাড়া দাও...সাড়া দাও...সাড়া দাও।
- ...।
- উদাসীন থেকো না, সাড়া দাও।
- ...।
- ডিমা ফাটা লিয়া। পেঁয়াজ কুচো লিয়া। চাটু মে তেল ডাল দিয়া। ফ্রীজে লঙ্কার পাত্রটা খুঁজে পাচ্ছি না। এস ও এস। উদাসীন থেকো না ভাইটি, সাড়া দাও। কিধর হ্যায় মির্চি? কুচিকুচি করনেকা।
এই এক রোগ বিপিনবাবুর। মাঝরাতে ওমলেটের নেশা।আর ভদ্রলোক রান্নাঘরে ঢোকা মানেই রাত মাত করা শোরগোল। অবিশ্যি সুতপার সাড়া ইদানীং পাওয়াই যায় না।
আসলে বিপিনবাবুর এই বিটকেল স্বভাব কোনওদিনই সুতপার বরদাস্ত হয় না। ফটোফ্রেমের এ'পাশে এসেও রাতের বেলা শান্তি নেই সুতপার। বিপিনবাবুর মাঝরাতের মামলেটকে ভূতজ্ঞানে ভয় পেয়ে কাঁপতে থাকেন সুতপা। এ গা কাঁপানো ভয় তাঁর ফ্রেমে সেঁধিয়েও কাটেনি।
ও'দিকে তৃপ্তি সহকারে মামলেট চেবানোর সময় রোজই বিপিনবাবুর মনে হয়; সুতপার ছবির ফ্রেমটা কি আজ একটু বেশি বেঁকে রয়েছে?
1 comment:
দারুণ... :)
Post a Comment