- না। হয়নি।
- হয়নি মানে?
- পরোটাটা ঠিক ভাজা হয়নি। আরও হাফ মিনিটে চাটুতে খুন্তি চেপে ভাজতে হত।
- কেলিয়ে লাট করে দেব। আগের এগরোলটা নাকি বেশি মুচমুচে হয়ে গেছিল। দিলাম আরেক পিস কম ভাজা রোল আনিয়ে। এখন বলছিস ভাজা হয়নি? শুয়ার!
- শুয়োরে খেলেও তাই বলবে। কামড় দিয়ে দেখুন না স্যার।
- চোপ! হারামজাদা! শোন। তোকে কিডন্যাপ করে রাখা হয়েছে। হনিমুনে আসিসনি। বাসি রুটি দিলে তাই খাবি।
- তাই দিন। আপত্তি করব না। সঙ্গে অল্প আচার। প্রেফারেবলি আমের। ঝাল ঝাল। অল্প নুন। আর এক ফালি পেঁয়াজ। অমন হাফ ডজন বাসি রুটি জাস্ট উড়িয়ে দেব। প্রমিস। কিন্তু রোল এনেছেন যখন সঠিক ভাবে ভাজিয়ে আনুন। আরে মশাই আপনি কিডন্যাপার, ভ্যান্ড্যাল তো নন। মহাভারতে ভীষ্ম টু কৃষ্ণ সবাই কিডন্যাপট্যাপ করেছে। রিল্যাক্স। যান, ছেলে পাঠান! ভাজিয়ে আনবে নতুন করে।
- ধুত্তোর। থাক তুই না খেয়ে, ব্যাটা ঢ্যামনা।
- ক্ষতি কি? ডিফেক্টিভ এগরোলের চেয়ে খালি পেটে গান গাওয়া অনেক ভালো। জানেন, আমার মা বড় ভালো গাইত। যত দুঃখ, তত সুর। আমি এই রোলের মত নেতানো হতে পারি, তবে সুরের কাঙাল। খালি পেটে দিব্যি মায়ের কথা ভাবব আর গাইব; "কী মায়া দেয় বুলায়ে, দিল সব কাজ ভুলায়ে, বেলা যায় গানের সুরে জাল বুনিয়ে"। খালি পেটে মনপ্রাণ ঢেলে গাইতে পারলে মায়ের গন্ধ আসে। আর নামতে পারে বৃষ্টি। তাই হোক স্যার। রোলফোল ক্যান্সেল। গান গাইব। কেমন?
- এই শালা দিলু! একটা রোল গুছিয়ে আনতে পারছিস না? পাঁচ মিনিটের মধ্যে রোল চাই। ডাবল ডিম, পরোটা খুব কড়া নয়, আবার ল্যাতপ্যাত যেন না করে। শসা আর সস্ বাদ। ক্যুইক। ক্যুইক। নয়তো রাস্কেলটা যে কোন সময়ে গান গাইতে শুরু করবে।
No comments:
Post a Comment