টলটলে এক জোড়া চোখ।
আর জুঁই। জুঁইয়ের সুবাস বাতাসে। কলকাতার বাতাসে।
বড়রাস্তার হইহইরইরই এই গলির মধ্যে নরম কিচিরমিচির হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
তেমনি একটা দুপুর। আর অপ্রস্তুত হয়ে পড়তে হয় এমন টলটলে এক জোড়া চোখ। মাথার ঝিমঝিমটা কীসের সে'টা কিছুতেই ঠাহর হয় না দীপক চ্যাটার্জীর।
"চোখ বন্ধ"।
চোখ বন্ধ অন্ধকারে একটা মুক্তোদানা ভেসে উঠলো, দানাটা দলা পাকাতে পাকাতে বড় হতে লাগলো। একসময় সেই ড্যালাটা একটা মনমাতানো বিস্ফোরনে ঝিরঝিরি হয়ে পড়ল ছড়িয়ে। সেই স্ফটিক গুঁড়ো দিয়ে কলকাতা আঁকলে যেন কেউ। দীপক চোখ বন্ধ করেও দিব্যি অনুভব করল চোখজোড়ার টলটল।
"এ'বার হাত পাত"।
জুঁই। নরম। চলে যাওয়ার মত নরম। আর চিঠি না লেখার মত নরম। কলকাতাকে ইরেজারে মুছে দেওয়ার মত নরম।
জুঁই।
"এই ভালো বাবু, জুঁইয়ে বানান ভুল থাকে না"।
তারপর সে কী হাসি। চোখ বন্ধের অন্ধকারে ততক্ষণে দীপক টের পেতে শুরু করেছে যে কলকাতা মুছে যাচ্ছে। আবছা হতে হতে শেষে পড়ে রইল একটা মুক্তোদানা।
সে হাসি টপকে চোখের টলটল দীপকের বুক বেয়ে নামতে শুরু করেছিল।
"কী রে, এবার চোখ খোল! দ্যাখ"।
দীপক মনে মনে ভাবছিল
"পর রুচি চোখ বন্ধ করনা, আপ রুচি চোখ খোলার সাহস করনা"।
No comments:
Post a Comment