১
- খুড়ো, চা ফুটতে ফুটতে একটা গান ধরো দেখি।
- রামপ্রসাদি ধরি?
- ধরো। গানের মাঝে ফুট কাটব না, আগে থেকে বলে রাখি প্রজাপতি বিস্কুট দিয়ো চায়ের সঙ্গে। একটা।
২
খুড়োর দোকান থেকে বেরিয়ে একটা বিড়ি ধরালেন দিবাকর। খুড়োর গানের সুরের একটা মস্ত গুণ হল যে সে সুর মাথায় ঘুরপাক খেয়ে চলে ক্রমাগত।
৩
দিবাকর বেরিয়ে যেতেই দোকানের ঝাঁপ নামালেন খুড়ো। এই রাতে আর বড় কেউ আসবে না। ও'বেলার বাটিচচ্চড়ি পড়ে আছে। এ'বার হাফ কৌটো চাল চাপিয়ে দিলেই ঝামেলা মিটে যায়। বিড়িটা ছুঁড়ে ফেলে চালের ড্রামের দিকে এগিয়ে গেলেন।
৪
বাটিচচ্চড়িটা বেশ ঝাল হয়েছিল। চার গেলাস জল খেয়ে দিবাকরের পেট আইঢাই হল কিন্তুর মুখের জ্বালা গেল না।
৫
- এক কাপ চা দিও খুড়ো।
- এই দিই।
- তোমার দোকান যে আজকাল ফাঁকাই থাকে খুড়ো।
- তা মন্দা যাচ্ছে বইকি। গান শুনতেও আর লোকে আসে না খুব একটা।
- একটা কথা বলি খুড়ো? রাগ করবে না?
- না না, বলো না।
- তোমার নাকি মাথার ব্যমো হয়েছে? নিজের মনেই একটানা বিড়বিড় করে চলো? দিবাকর খুড়ো পাগল এ হাওয়া বাজারে রটেছে। একটু সামলে চলো দিবাকর খুড়ো। নইলে আমাদের মত জনা দুয়েক কাস্টোমারও আর আসতে সাহস পাবে না।
- কী যে বলো দিবাকর। এই নাও চা। এ'বার একটা গান শোনাই?
- রামপ্রসাদি হোক বরং আজ। কেমন খুড়ো?
No comments:
Post a Comment