- এ কী! আপনি?
- কেন? আপনার ডাক না এলে আপনার অফিসে আসা বারণ নাকি বালিশবাবু?
- মতলবটা কী বলে ফেলুন।
- মতলব আবার কী ভাষা!
- ধান্দা! কী ধান্দায় এসেছেন শুনি?
- ঈশ! মতলব। ধান্দা। প্রয়োজন বলতে পারেন না?
- ঝেড়ে কাশুন। আমার অনেক কাজ।
- অনেক কাজ?
- আপনার মিসেসের...।
- ইউ মীন আপনার মায়ের...।
- বাহান্ন তিপ্পান্ন। দ্যাট ইজ ওকে। দিন দুই হয়ে গেল আপনার মিসেসের ড্রেসিংটেবিলটা তছনছ করা হয়নি। কুইক। বলে ফেলুন যা বলার।
- তা'তে মনে পড়ল, টিভির রিমোটটা কোথায় আছে আপনি জানেন?
- টিভি আমি চালাই?
- না তা নয়। এমনি র্যান্ডমলি জিজ্ঞেস করে নিলাম।
- এ'টা জিজ্ঞেস করতেই অফিস পর্যন্ত ছুটে এসেছেন?
- নাহ্। একটা জরুরী কথা ছিল।
- টিভির চেয়েও বেশি জরুরী? ব্যাপার কী ?
- বলছিলাম যে...। এই যে আপনার ভাষা...।
- ভুলে যাচ্ছেন যে অফিসের বাইরে আমি কথা বলতে পারি না। তত থথ বব ভভ করে শর্টহহ্যান্ডে কথা বলতে হয়। অবিশ্যি আপনার মিসেসের কমিউনিকেট করতে কোনও অসুবিধে হয় না।
- আই মীন...আপনি মূলত যে ভাষাতে কথা বলতে শিখবেন বা লিখবেন; সে'টা হল বাংলা।
- পর্তুগীজ হলেও তো কিছু এসে যেত না। সেরিল্যাকটুকু চেয়ে নিতে পারলেই তো ল্যাঠা চুকে যাওয়ার কথা।
- ইয়ে, সেরিল্যাক চাওয়ার বাইরেও ভাষার দরকার আছে...।
- পটির পর ইয়ে সাফ করার জন্য কাউকে ডাকতে, তাই তো? হ্যাঁ। নোটেড। এর বাইরে ভাষাফাষা দিয়ে কী হবে। ও চিন্তা করবেন না। বাংলা, জুলু; যা কিছু দিয়ে চালিয়ে নেব।
- হোয়াট ননসেন্স। বাংলা না শিখে যাবেন কোথায়?
- আপনি বাংলা শিখেই বা কোথায় গেছেন স্যার? সেই তো 'এ'টা তুই ভালো নিভিয়েছিস' বা "তোমার কথার আন্দাজটা খুব সুন্দর' ঝেড়ে দিন গুজরান করছেন।
- ইয়ে, সেজন্যেই এ'বারে আপনার কাছে আসা আপনি এ'বার আবোলতাবোল জিবেরিশ বন্ধ করে নিজের মনের কথা বাংলায় বলতে শুরু করবেন। সে বয়স আপনার হয়ে গেছে। এক বছর দু'মাস! অলমোস্ট দেয়ার। কাজেই কী কোয়ালিটির বাংলা পিক করছেন সে’টা খুব জরুরী।
- মনের কথা বাংলায়?
- ঠিক। মনের মধ্যে হয়ত আপনি বলে চলেছেন 'হুসবাএ ফস্ক্রহ থথত্থথ'। সে'টাই বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় "আমার খুব হিসু পেয়েছে"।
- হলো না। অনুবাদ করলে দাঁড়াবে আমার বহুত জোরসে হিসু লেগেছে।
- বহুত জোরসে লেগেছে? শুনুন বালিশবাবু, ব্যাপারটা সিরিয়াস। হিসু হয়ে গেলে বলতে হবে হিসু করে ফেলেছি।
- হিসু করে চুকেছি।
- চুকেছি?ধ্যাত্তোর। শুনুন। আপনাকে ওয়ার্ন করে দেওয়ার জন্য এই অসময়ে ছুটে আসা।
- কীসের ওয়ার্নিং?
- এই যে বাংলাটা আপনাকে মন দিয়ে শিখতে হবে।
- ঠিক আছে। মন লাগিয়ে শিখব। আর একবার আচ্ছা সে শিখে গেলে কোনও চিন্তা নেই...।
- আচ্ছা সে? মন লাগিয়ে?
- হুঁ।
- জল আছে বালিশবাবু?
- কেন? শরীর মস্ত্ নেই?
- মস্ত্? তা ঠিক নেই। মস্ত চিন্তা মাথায়।
- ইয়ে মিস্টার মুখর্জি...।
- কী? কিছু বলবেন?
- বাজারের খবর আপনার বানানবোধে নাকি ফলিডল মেশানো আছে?
- সে দুই একটা হয়ত...।
- সে দু'একটায় যে'দিন শুধার আনবেন, সে'দিন না হয় আমি বাংলা নিয়ে আমার দায়িত্ব নেভাব? জিনকে সম্মান করা মানুষের উন্নতির আধার।
- কানে বাংলার নামে কী সব ঢুকলো বালিশবাবু...।
- জ্ঞান কিছু টাইম বাদে দেবেন। এখন আসুন। স্টার প্লাসে মাসির সিরিয়ালে নতুন সীজনের শুরুয়াদ হবে। আমিও দেখি। এ’বার সোফাঘুম থেকে একটু উঠুন। উত্তরের জানালার কার্নিশে টিভির রিমোট পড়ে আছে। সে'টা চটপট নিয়ে আসুন দেখি।
- কেন? আপনার ডাক না এলে আপনার অফিসে আসা বারণ নাকি বালিশবাবু?
- মতলবটা কী বলে ফেলুন।
- মতলব আবার কী ভাষা!
- ধান্দা! কী ধান্দায় এসেছেন শুনি?
- ঈশ! মতলব। ধান্দা। প্রয়োজন বলতে পারেন না?
- ঝেড়ে কাশুন। আমার অনেক কাজ।
- অনেক কাজ?
- আপনার মিসেসের...।
- ইউ মীন আপনার মায়ের...।
- বাহান্ন তিপ্পান্ন। দ্যাট ইজ ওকে। দিন দুই হয়ে গেল আপনার মিসেসের ড্রেসিংটেবিলটা তছনছ করা হয়নি। কুইক। বলে ফেলুন যা বলার।
- তা'তে মনে পড়ল, টিভির রিমোটটা কোথায় আছে আপনি জানেন?
- টিভি আমি চালাই?
- না তা নয়। এমনি র্যান্ডমলি জিজ্ঞেস করে নিলাম।
- এ'টা জিজ্ঞেস করতেই অফিস পর্যন্ত ছুটে এসেছেন?
- নাহ্। একটা জরুরী কথা ছিল।
- টিভির চেয়েও বেশি জরুরী? ব্যাপার কী ?
- বলছিলাম যে...। এই যে আপনার ভাষা...।
- ভুলে যাচ্ছেন যে অফিসের বাইরে আমি কথা বলতে পারি না। তত থথ বব ভভ করে শর্টহহ্যান্ডে কথা বলতে হয়। অবিশ্যি আপনার মিসেসের কমিউনিকেট করতে কোনও অসুবিধে হয় না।
- আই মীন...আপনি মূলত যে ভাষাতে কথা বলতে শিখবেন বা লিখবেন; সে'টা হল বাংলা।
- পর্তুগীজ হলেও তো কিছু এসে যেত না। সেরিল্যাকটুকু চেয়ে নিতে পারলেই তো ল্যাঠা চুকে যাওয়ার কথা।
- ইয়ে, সেরিল্যাক চাওয়ার বাইরেও ভাষার দরকার আছে...।
- পটির পর ইয়ে সাফ করার জন্য কাউকে ডাকতে, তাই তো? হ্যাঁ। নোটেড। এর বাইরে ভাষাফাষা দিয়ে কী হবে। ও চিন্তা করবেন না। বাংলা, জুলু; যা কিছু দিয়ে চালিয়ে নেব।
- হোয়াট ননসেন্স। বাংলা না শিখে যাবেন কোথায়?
- আপনি বাংলা শিখেই বা কোথায় গেছেন স্যার? সেই তো 'এ'টা তুই ভালো নিভিয়েছিস' বা "তোমার কথার আন্দাজটা খুব সুন্দর' ঝেড়ে দিন গুজরান করছেন।
- ইয়ে, সেজন্যেই এ'বারে আপনার কাছে আসা আপনি এ'বার আবোলতাবোল জিবেরিশ বন্ধ করে নিজের মনের কথা বাংলায় বলতে শুরু করবেন। সে বয়স আপনার হয়ে গেছে। এক বছর দু'মাস! অলমোস্ট দেয়ার। কাজেই কী কোয়ালিটির বাংলা পিক করছেন সে’টা খুব জরুরী।
- মনের কথা বাংলায়?
- ঠিক। মনের মধ্যে হয়ত আপনি বলে চলেছেন 'হুসবাএ ফস্ক্রহ থথত্থথ'। সে'টাই বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় "আমার খুব হিসু পেয়েছে"।
- হলো না। অনুবাদ করলে দাঁড়াবে আমার বহুত জোরসে হিসু লেগেছে।
- বহুত জোরসে লেগেছে? শুনুন বালিশবাবু, ব্যাপারটা সিরিয়াস। হিসু হয়ে গেলে বলতে হবে হিসু করে ফেলেছি।
- হিসু করে চুকেছি।
- চুকেছি?ধ্যাত্তোর। শুনুন। আপনাকে ওয়ার্ন করে দেওয়ার জন্য এই অসময়ে ছুটে আসা।
- কীসের ওয়ার্নিং?
- এই যে বাংলাটা আপনাকে মন দিয়ে শিখতে হবে।
- ঠিক আছে। মন লাগিয়ে শিখব। আর একবার আচ্ছা সে শিখে গেলে কোনও চিন্তা নেই...।
- আচ্ছা সে? মন লাগিয়ে?
- হুঁ।
- জল আছে বালিশবাবু?
- কেন? শরীর মস্ত্ নেই?
- মস্ত্? তা ঠিক নেই। মস্ত চিন্তা মাথায়।
- ইয়ে মিস্টার মুখর্জি...।
- কী? কিছু বলবেন?
- বাজারের খবর আপনার বানানবোধে নাকি ফলিডল মেশানো আছে?
- সে দুই একটা হয়ত...।
- সে দু'একটায় যে'দিন শুধার আনবেন, সে'দিন না হয় আমি বাংলা নিয়ে আমার দায়িত্ব নেভাব? জিনকে সম্মান করা মানুষের উন্নতির আধার।
- কানে বাংলার নামে কী সব ঢুকলো বালিশবাবু...।
- জ্ঞান কিছু টাইম বাদে দেবেন। এখন আসুন। স্টার প্লাসে মাসির সিরিয়ালে নতুন সীজনের শুরুয়াদ হবে। আমিও দেখি। এ’বার সোফাঘুম থেকে একটু উঠুন। উত্তরের জানালার কার্নিশে টিভির রিমোট পড়ে আছে। সে'টা চটপট নিয়ে আসুন দেখি।
No comments:
Post a Comment