- এই যে বাঁহাতবাবু, শুনছেন!
- কী ব্যাপার? এত হল্লা করছেন কেন?
- সরি। দিব্যি টেবিলের উপর শুয়েছিলেন। আপনাকে ব্যতিব্যস্ত করতে একদম চাইনি। কিন্তু ব্যাপারটা এতটাই আর্জেন্ট..।
- আপনার পরিচয় জানতে পারি কি?
- আজ্ঞে আমি মগজচন্দ্র।
- অ। তা কী ব্যাপার?
- এমার্জেন্সি। ক্রাইসিস। আপনার সাহায্য দরকার।
- ব্যাপারটা কী শুনি!
- জ্ঞান। প্রচণ্ড জ্ঞান ফায়্যার হচ্ছে আমার দিকে।
- জ্ঞান?
- বোমার মত। মাছির বিরক্তিকর ভনভনের মত। হাড়ে ছুঁচ বেঁধানোর মত। ওই আমাদের সামনে যে মালটা বসে আছে; তখন থেকে জ্ঞান ঝেড়ে যাচ্ছেন মাইরি। হ্যান করা উচিৎ ত্যান বোঝা উচিৎ। ঘুরে ফিরে একটাই বক্তব্য ; আমি কত ডীপ তুমি কত গবেট। আমি মনুমেন্ট তুমি হাইড্রেন। আর নেওয়া যাচ্ছে না মাইরি। থাপ্পড় হয়ে উড়ে এসে ওর কলারবাবাজী টেনে ধরুন। প্লীজ।
- হিংসা? ভায়োলেন্স? নোংরা ব্যাপার তো।
- বাঁহাতবাবু, আপনি যদি কাজে পরিষ্কার ময়লা দেখেন তাহলে আমি কোথায় যাই।
- একটা উপায় আছে।
- কী রকম?
- আমি কড়ে আঙুল ফ্ল্যাশ করছি, আপনি পাবাবুদের বলুন নাচ বন্ধ করে সোজা বাথরুমের দিকে ছুটতে..।
- আর সে'খান থেকে পাখি যাবে উড়ে...ইউরেকা!
- ইউরেকা! এ'বার আসুন, আমি আমার কাজ করি।
Wednesday, July 5, 2017
জ্ঞান ও বাথরুম
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment