- হ্যালো, খোকা!
- হুঁ। বলো।
- এ'বারেও ছুটি পাবি না রে?
- সব জানোই তো মা।
- জানি। তবু, ইচ্ছে হয় জিজ্ঞেস করতে।
- বেশ করেছ জিজ্ঞেস করে।
- তোর বস তো বেশ ভালোমানুষ, দেখ না একবার বলে কয়ে যদি..।
- ওই সময় রিভিউ আছে মা। না থাকলে আমারই ক্ষতি।
- জানি। জানি। তবু। বলে ফেলি।
- বেশ করো বলে ফেলো।
- খোকা জানিস, দত্ত বাড়ির ছোট মেয়ে পাড়ায় এসেছে..পুজো পর্যন্ত থাকবে। ওর ছেলেটা যে কী মিষ্টি হয়েছে..। আজ বাড়িতে এসেছিল। গিন্নীবান্নি হয়ে গেছে সে এখন। ছেলেটা সবার কোলে যায়...।
- মা।
- তোর কথা জিজ্ঞেস করছিল।
- আমি তো তোমায় এত কথা জিজ্ঞেস করিনি মা।
- বলে ফেলি।
- আচ্ছা। বেশ করো বলে ফেলো।
- আসবি? খোকা? কদ্দিন পুজোয় বাড়ি ফিরিস না। উৎসব পার্বনের দিনে ঘরটা একদম...।
- রিভিউ। প্রমোশন। কত কিছু!
***
- তুই কলেজ ফাঁকি দিয়ে চলে এলি?
- আমার দ্বারা পেল্লায় কেরিয়ার টেরিয়ার হবে না রে। একটা বেশ পোস্ট অফিসে ক্লার্কের হব। দশটা পাঁচটা। তুই হবি কোনও হেডমিস্ট্রেস।
- বাবু, তুই এমন কেন রে? সেমেস্টার পরীক্ষা বাদ দিয়ে কেউ পুজোয় বাড়ি ফেরে?
- পুজোয় কেউ কেরিয়ার ভাবে?
***
"পুজোয় কেউ কেরিয়ার ভাবে"? নবমী সকালে, নাগপুরের কোয়ার্টারের ছাতে; তিন নম্বর আর্নড লীভ নষ্ট করতে করতে ভাবছিলেন চ্যাটার্জীবাবু।
একটানা রিভিউ চলে এসএমএসে;
" এ'বারেও আসবি না বাবু? আমার সঙ্গে কি আর কোনওদিনও দেখা করতে নেই"?
1 comment:
Ei lekha gulo na likhlei ki noi!Jete parchina to ses tin bochor.tai porlei buker ba dik ta chinchin kre,Ma Baba r mukh ta mne pore ar mne hoi e ki jibon e bachchi!
Post a Comment