চিঠি লেখাটা অম্লানের অভ্যাস ও বাতিক।
ডিনারের পর। রোজ।
মিনিমাম দু'টো। ম্যাক্সিমাম চারটে।
সমস্তই সুতপার জন্য লেখা। সবগুলোই পোস্ট হয় রাতের ছাতের কোণ হতে নিচের ফুটপাথের দিকে। যেমন সুতপা নেমেছিল বছর কয় আগে। সে অবিশ্যি চিঠিদের মত ভেসে ভেসে নামেনি, সে নেমেছিল এক ঝপাতে। শেষ ঝপাতে।
খামে লেখা নাম ঠিকানা;
সুতিদেবী
ফুটপাথ, ল্যাম্পপোস্ট আর শিবুর পান দোকানের মাঝামাঝি, কলকতা ৭০০০৬৮।
তবে।
অভিমান কি সহজে ভোলার? রোজ আসেন সুতপা। চিঠি পোস্টের সময় যদি অম্লানকে ঠেলে ফেলে দেওয়া যায়, ছাত থেকে ওই ফুটপাথে।
ল্যাম্পপোস্ট আর শিবুর পান দোকানের মাঝামাঝি।
কিন্তু রোজকার লোভ আটকে দেয় সুতপাকে।
কালকের চিঠিতে কী কান্না বেশি না খুনসুটি? দুপুরের স্মৃতি? রাতের গল্প? সঞ্জীব কোটেশনে না বাউল সুরের গল্পগাছা?
চিঠির লোভে ক্রমশ পিণ্ডদান অনুভব করে চলে সুতপা।
প্রতি চিঠি ভাসিয়ে দেওয়ার সময় ঘাড়ে শীতল স্নেহ অনুভব করে অম্লান।
No comments:
Post a Comment