- ব্রাদার! পেরেছি!
- এত রাত্রে...এত হাঁকডাক বিগ-বেরাদার...?
- রাত কোথায় ব্রাদার? ভোর। শুরু। আলো। নতুন। এই তো সময়। পেরে ওঠার। আমি পেরেছি।
- পেরেছ? যন্তর তৈরি?
- না হলে ডাকলাম কেন? যন্তর রেডি। তুমিই প্রথম সাবজেক্ট ব্রাদার।
- ওহ। এ যন্ত্র পারবে গো বিগবেরাদার? মন খারাপ বুঝতে?
- চটপট। তুরন্ত। এই মনখারাপ হল, হুই ডাক এলো।
- মাইরি? এ যন্তর হাঁক দেবে?
- নয়ত আর বানালাম কী! ডাকেই অ্যান্টিসেপ্টিক।
- তাতেই মনখারাপ গায়েব?
- মনখারাপ ইজ আ ফর্ম অফ এনার্জি ব্রাদার। এনার্জি গায়েব হয় না। এক ফর্ম থেকে অন্য ফর্মে কনভার্ট হয়। মনখারাপ টু মনকেমন। মনকেমন টু কবিতা। চটপট। তুরন্ত। দুরন্ত।
- কবিতা? আমি বুঝি না।
- যন্তর। বুঝিয়ে দেবে।
***
'কী রে! ভাবছিস কী? বললি না তো আমার বানানো।নাড়ু কেমন খেলি'? যন্তরের চোপায় চমকে ওঠে পিলে।
তাই তো। বিগ-বেরাদার তবে মিথ্যে বলেননি। আঁচলের খসখসে ছ্যাঁতছ্যাঁতে কবিতা টের পেয়ে বিগবেরাদারের প্রতি সামান্য গলে পড়তে ইচ্ছে হল।
1 comment:
নলেন গুড় দিয়ে নাড়ু হয়? এমনি মনে এলো, খিদে পেলো,বাড়ি যাই....
Post a Comment