- আরে ক্রিফ্যাবাবু যে!
- চিনতে পেরেছেন স্যার?
- না চিনে আর উপায় কী বলুন। বিষমে বিষমে বেঁধে রেখেছিলেন যে এদ্দিন। তা ক্রিফ্যাবাবু, একটা কথা বলুন। বছর দশেক আগে যখন দেখেছিলাম তখন তো দিব্যি নাদুসনুদুস ছিলেন, এখন এমন হাড়গিলের মত চেহারা হল কী করে?
- ক্রিফ্যা তো আমি এক পিস নই স্যার। একপিস আমি হাড়গিলে হলে কী এসে গেল!
- এমন বিমর্ষ হাবভাব আপনাকে মানায় না ক্রিফ্যাবাবু। সে'বার কী ফুর্তি দেখেছিলাম আপনার মধ্যে।
- সেই অদ্দিন আগে? তখন আমার ভিটামিন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটরা সবাই ছিলেন, আমিও ভুঁড়ি বাগিয়ে সুখে ছিলাম। শেষ পুষ্টির সোর্স আপনি পড়েছিলেন, সে জন্যেই এ দেহ নিয়ে কোনওক্রমে পড়েছিলাম...। এ'বার ইউথ্যানেসিয়া।
- ও কী কথা ক্রিফ্যাবাবু! আপনারাই তো সব, আমরা সবাই একে একে যাবই, যেতেই হবে। কিন্তু আপনাদের থাকতে হবে যে।
- বললাম যে স্যার, এক এক ক্রিফ্যার এক এক জাতের খাদ্য। আমাদের ব্যাচের পাতের পাশে প্লাস্টিক বাটিতে গরম জল আর কাগজের সাবান সার্ভ হয়ে গেছে। আপনি এদ্দিন ছিলেন, তাই পরের ব্যাচের হল্লা শুনেও চেয়ার ছাড়িনি...।
- কিন্তু এ'বার যে আমাকেও যেতে হবে ক্রিফ্যাবাবু।
- ক্রিকেটারদেরই শুধু রিটায়ারমেন্ট থাকে? আজ আপনার কাছে এলাম কেন? আপনি চললেন, আমার আর থেকে কী কাজ? এ'বার পরের ব্যাচ কবজি ডুবোবে। মহেন্দ্রবাবু, আজ্ঞা করুন; আপনার সঙ্গে এই আমি, বাবু ক্রিকেটফ্যান এইবারে মানে মানে কেটে পড়ি। একটা স্যুটকেস আমায় দিন দেখি মশাই!
No comments:
Post a Comment