- অমল। তাই তো?
- আজ্ঞে না। সুবিমল।
- সুবিমল? সে কী!
- সত্যিই সুবিমল।
- রিয়েলি? আপনার নামটা অমল ছিল না?
- নিজের নাম স্যর। অমলই যদি হবে তা'হলে খামোখা সুবিমল বলব কেন।
- তা ঠিক। যাকগে। তা অমলবাবু, আমার কাছে কী মনে করে?
- সুবিমল। সু বিমল।
- কে সুবিমল?
- আমি।
- তাই তো বললাম।
- না, আপনি অমল বললেন।
- ওহ। তা সুবিমলবাবু। আমার কাছে কী মনে করে?
- না মানে...।
- না মানে নো। ইংরেজিতে।
- তা নয়...।
- নিশ্চয়ই তাই।
- আসলে আমায় আপনি ডেকেছেন।
- আমি? আপনি কি প্লাম্বার? অমলবাবু?
- সুবিমল। আমি সুবিমল।
- আপনি কি প্লাম্বার? আমার বেসিনটা লীক করছে তাই...।
- না না..।
- না মানে? আমার বাথরুমের বেসিন, আমি জানব না?
- তা নয়।
- তাই। আমার বাথরুমের মেঝে ভিজে যাচ্ছে। এ'দিকে।আমি মোজা পরে বাথরুমে যাই। ক্যালামিটি।
- মৈত্রবাবু। আমি অমল নই, সুবিমল। আর আমি প্লাম্বারও নই। আমায় আপনি ডেকেছেন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়ে তবে এসেছি।
- আমি ডেকেছি?
- কবিতা লেখা শেখাতে। মাইনে ভালোই অফার করেছেন। ভুলে গেছেন? একদম?
- ওহ ওহো। সুবিমলবাবু। এইবারে মনে পড়েছে। কবিতার টিউশনি। বটেই তো। বটেই তো। তা এতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন কেন? বসুন। আপনি শিক্ষক, আমি ছাত্র। প্লীজ, বসুন।
- ধন্যবাদ। ঘণ্টায় হাজার টাকার ব্যাপারটা। ভুলবেন না প্লীজ।
- চেক চলবে? মাসের শেষে ঘণ্টা হিসেব করে। নাকি অ্যাডভান্স মাস্ট?
- না, মাসের শেষে দিলেই হবে।
- গুড। শুরু করুন তা'হলে।
**
কলেজ স্ট্রিটের ফুটপাথের পুরনো বইয়ের আস্তানায় কত রকমের বিচিত্র বই দেখতে পাওয়া যায়। খোঁজার চোখ থাকা চাই। এই যেমন গত শনিবার। পুরনো বইয়ের ঢিপির মধ্যিখানে সাতপুরনো বাঁধাইয়ের ইংরেজি বইটা চোখে পড়েছিল; 'প্ল্যানচেট ফর ব্রিঙ্গিং ব্যাক দ্য ডেড এলিমেন্টস ফ্রম ইনসাইড ইওর সোল'। লেখক বাঙালি আর লেখকের নামটা তাঁর নিজের নামের বেশ কাছাকাছি ; অমল মৈত্র।
লোভে পড়ে বইটা ঝুপ করে কিনে ফেলেছিলেন মানিকতলার সুবিমল মৈত্র।
No comments:
Post a Comment