- হ্যালো।
- হুঁ।
- বাবু!
- হুঁ।
- শুভ নববর্ষ।
- ন্যাকা।
- কেমন আছিস?
- বহুত খুব।
- পুরনো পাড়ায় যাস এখনও?
- নাহ্। সময় কই।
- ও। তা বটে। তুই কত ব্যস্ত।
- খুব ব্যস্ত। বড্ড দৌড়ঝাঁপ। হুড়মুড়।
- অফিসের খুব চাপ?
- ওই। তুই কেমন আছিস?
- দিব্যি। একটা নতুন অ্যাসাইনমেন্ট। বেশ ইন্টারেস্টিং জানিস।
- বাহ্।
- আমার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না?
- না।
- রাখি?
- রাখ।
- রাখব না।
- আচ্ছা।
- পাড়ায় ফিরিস না কেন?
- ওই যে। ব্যস্ত।
- ন্যাকা।
- ফোনটা রাখবি?
- ফিজিক্স টিউশনের পর রোজ বাদাম খাওয়াতাম তোকে। ঘাটের পাশে। দু'বছর ধরে। প্রতি শনি আর বুধ। মাঝেমধ্যে বোনাস হিসেবে বিপিনকাকার ঘটিগরম। নিজের টিউশনির টাকায়। ভুলে গেলি? নেমকহারাম! রাস্কেল!
- গাল পাড়তে ফোন করলি?
- বেশ করব। যাস না কেন? পাড়ায়?
- এমনি।
- ঘাটের আশপাশটা বড় দেখতে ইচ্ছে করে বাবু। কদ্দিন দেখিনা। তোর মনে পড়ে? ওই কচুবন আর গঙ্গামাটি মেশানো গন্ধ? মনে পড়ে তোকে প্রবাবিলিটি শিখিয়েছিলাম? এই রকমই, সংক্রান্তির বিকেলে।
- স্নব। তুই অঙ্ক স্নব।
- তাই কথা বলিস না আমার সঙ্গে?
- আমাদের কথা বলতে নেই।
- তোর মুণ্ডু।
- ফোন রাখবি এ'বার? আমি ব্যস্ত।
- বাজে কথা। পাড়ায় ফিরবি একদিন? ঘাটে যাবি বাবু? বলবি কতটা বদলে গেছে জায়গাটা? কচুবন আছে এখনও? বিপিনকাকা সাইকেলে ঘটিগরম নিয়ে ঘাটের পাশ দিয়ে যায়? তিন নম্বর সিঁড়িটা, যে'খানে আমরা বসতাম, সে'টা আগের মতই...।
- আমি এক কলিগের সঙ্গে আছি। খুব ব্যস্ত। রাখি?
- একদিন ঘাটে গিয়ে ফোন করবি আমায়? বাবু?
- না।
- তুই একটা ইডিয়ট! আস্ত গাধা!
- হোয়াট আর দ্য অডস?
- এ'রকম কেন করিস? কথা কেন বলিস না?
- কল্যিগ। অফিসের কাজ। রাখছি।
- আয়। সাবধানে থাকিস।
- হুঁ। শুভ। নববর্ষ।
- ন্যাকা। রাখ। দ্যাখ কল্যিগ কী বলছে। কাজ কর।
***
- কার ফোন ছিল গো?
- ভূতের।
- ঘাটে বসে আছ পা ছড়িয়ে, অথচ অফিসে আছ বললে। নির্জলা মিথ্যে।
- বিপিনকাকা, তুমি ঘটিগরমের ব্যাপারী, ভূতের খবরে তোমার কাজ কী? আর এক ঠোঙা ঘটিগরম বানাও বরং। আর ইয়ে, প্রবাবিলিটির অঙ্ক জানো তুমি?
No comments:
Post a Comment