মিসেস মিশ্র আর অর্ণব।
ওদের আবারও দেখা হবে। মাস তিনেকের মধ্যেই, সম্ভবত দিল্লীতে।
মিসেস মিশ্র অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা মাছের খবর নেবেন।
অর্ণব ব্যস্ত হয়ে ঘুরে দেখবে মিসেস মিশ্রর বাড়ি, খবর নেবে কলকাতা থেকে বয়ে আনা বইগুলো কোথায় রাখা হয়েছে।
আবার ওরা নিজেদের তফাৎগুলো হাতড়ে মরবেন আর শেষ 'তা বেশ, এই ভালো' বলে থামবেন। 'এম্প্যাথি' ব্যাপারটা সেই সব মাতব্বরদের জন্য নয় যারা কথায় কথায় "আমি ঠিক" বলে অন্যের গলা টিপে ধরেন (সে মাতব্বর ঈশ্বরের মত নির্ভুল হলেও নয়)।
দু'জনে পুরনো অ্যালবাম উল্টেপাল্টে দেখবেন; পাশাপাশি বসে। মিসেস মিশ্রর আপত্তি অবশ্যই থাকবে না অর্ণবের বানানো কফিতে। আর অর্ণব? তিনি হো-হো হেসে সোফা থেকে কুশন-বুকে মেঝেতে গড়িয়ে পড়বেন; থেরাপিস্ট দেখানোর উপদেশ শুনে।
রাতের দিকে মিসেস মিশ্র টের পাবেন অর্ণবের এই সময় দিল্লী আসার কারণ। তাঁর মতই, অর্ণবও প্রিয় মানুষদের জন্মদিন গুলিয়ে ফেলেন না।
মিসেস মিশ্রর জন্মদিনের ডিনার বাইরেই সারার প্ল্যান হবে; অর্ণবের ট্রীট। ওদের সঙ্গে বেরোবে সিড।
No comments:
Post a Comment