কতবার মনে হয়েছে শৈলেনবাবুর লেখা নিয়ে সিনেমা তৈরি হলে কেমন হত। সারল্য, রূপকথা আর গতির ও'রকম মিশেল লেখা থেকে সিনেমায় তুলে আনা কি আদৌ সম্ভব? সিনেমার ঘণ্টা দুয়েকের পরিসরে ওই গল্পগুলোকে একই রকম প্রাণবন্ত রাখা যাবে?
সমস্ত চিন্তা দূর করে দিলেন নাগেশ কুকনুর। ওই, আমার সিনেমার টেকনিকাল দিকগুলোর ব্যাপারে তেমন কোনও ধারণাই নেই। কিন্তু সিনেমা ভালো লাগার ব্যাপারে স্পষ্ট বেঞ্চমার্ক আছে (নিজের 'ভালো লাগা', আইএমডিবি রটেনটোম্যাটোর রেটিং নয়, ক্রিটিকাল রিভিউ পড়ে মাথা নাড়া নয়)। ভালো লাগা সিনেমা শেষ হলেই মনে হবে দিব্যি একটা গল্পের বই শেষ হল।
এই যেমন 'ধনক' দেখে মনে হল। শৈলেন লেভেল গল্পবলা, মনখারাপে মনভালোতে মেশানো প্লট। আর অবিকল সেই সব ফ্রেম যা শৈলেনের গল্প পড়তে পড়তে মনের মধ্যে ভেসে ওঠা উচিৎ। ইউটোপিয়ান অথচ কী ভীষণ স্মার্ট; আগাগোড়া। অমন একটা দিদি আর ও'রকম একটা ভাই; শৈলেনবাবু দেখলে বড় খুশি হতেন। আর এ'দিকে নাগেশ কুকনুরকে শৈলেন পড়ানোর দায়িত্ব যদি কেউ নিত।
তাছাড়া এই সিনেমার গান! ওই গানগুলো বাদ দিলে গল্পটা পুরো বলাই হত না। আর আছে বলিউড। ভাষার তফাৎ আর গিজগিজে বিটিকেল জিনিসপাতি থাকা সত্ত্বেও বলিউড যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সঙ্গে কতটা নিবিড়ভাবে জড়িয়ে; তা স্বপ্নের মত মেলে ধরা হয়েছে।
( শৈলেনকে আমরা তেমন পাত্তাটাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করলাম না। বাংলা ভাষাটা টিকে থাকলে অন্য কোনো প্রজন্ম দেবে হয়ত। একটা ব্যাপার সদ্য জেনেছি, শৈলেন ঘোষের উপন্যাসগুলোর সংকলন অবশেষে বেরিয়েছ। সম্ভবত পারুল প্রকাশনী, চার খণ্ডে)।
No comments:
Post a Comment