এপ্রিল পেরোনোর আগেই কলকাতা তন্দুর সেঁকা হয়ে পড়বে। এ ভ্যাপসা গরম এমন বিটকেল যে প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরের সমস্ত ঘ্যাম ঘামে শুষে নেয়।
হাতের পাঁচ বলতে মাঝেমধ্যে আইআরসিটিসিতে লগ ইন করে শেয়ালদা টু নিউজলপাইগুড়ির টিকিট দেখে কয়েক মুহূর্তের জন্য প্রাণ ঠাণ্ডা করা। গরম বাড়াবাড়ি রকমের দিকে গেলে অবশ্য উইকিপিডিয়ায় লাদাখের গল্প না পড়ে উপায় থাকে না। গুগল ইমেজেস আর ইউটিউবও যথেষ্ট কার্যকরী। গতবার আধঘণ্টা ধরে বরফে মোড়া কানাডায় ছবি ও ভিডিও দেখে সর্দি লেগে গেছিল।
অবস্থা আরো সঙ্কটজনক হলে অবশ্য দু'চার পেগ গেলা ছাড়া উপায় থাকেনা; বরফলেবুজলের পাতিয়ালা পেগ যে কত চিড়বিড়ে দুঃখকে চাবকে সোজা করার ক্ষমতা রাখে।
মূল সমস্যাটা শুরু হয় মে-মাসের মাঝামাঝি গিয়ে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের চোটে যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে, ট্রাম্পবাবু আর বছর খানেক মন দিয়ে চেষ্টা করলেই নর্থ পোলের কোনো এক মোড়ে দাঁড়িয়ে দিব্যি ফতুয়া গায়ে ঘুগনি-ডিমসেদ্ধ খাওয়া যাবে। তা গতবছর বৌ বলল এই সময় ফ্লুইড ইনটেক না বাড়ালে সমস্যা হতে পারে। আমি মাথা নেড়ে সাজেশন দিয়েছিলাম এই হরেন্ডাস গরমের নিজেদের হাইড্রেটেড রাখতে কিছুদিন আমাদের উচিৎ এক বাটি মাংস প্রতি মিনিমাম দু'বাটি করে ঝোল খাওয়া। সম্পর্কে সেই থেকে একটা বিশ্রী চাপা অবিশ্বাস ঢুকে গেল।
No comments:
Post a Comment