টেকনিকালিটি না বোঝায় যে কী স্বস্তি। সিনেমার মাঝেমধ্যেই আহাউঁহু করে নড়েচড়ে বসা যায়। ক্রিটিসিজমের ভারি স্কুলব্যাগ পিঠে থাকে না, তুলনামূলক আলোচনার জ্যামিতির বাক্স হাতে হাবুডুবু খেতে হয় না। সে ভারি মজার।
'এই সিনেমাটা জব্বর'। 'ওই সিনেমাটা তেমন জমেনি'। আমার প্রাইমারি স্প্রেক্ট্রাম অফ সিনেমা।
আল্ট্রা-জব্বর আর ইনফ্রা-জমেনি মার্কা ব্যতিক্রমের লিস্টও অবশ্যই আছে। সেই আলট্রা লিস্টে যোগ হল 'পলাতক'।
অনুপকুমার। মৌচাক-গোছের চ্যাঁচামেচি রোলে নষ্ট হওয়া অনুপবাবু যখন এ'খানে বুক বাজিয়ে বলেন 'আমি আংটি চাটুজ্যের ভাই', তখন তাঁর দেমাকে টেকা দায়। আবার উড়ে এসে জুড়ে বসার জাদুতে তিনি ম্যান্ড্রেক। কাছে টেনে নেওয়ায় যেমন তিনি ওস্তাদ, তেমনি পাশ কাটিয়ে দুম করে বেরিয়ে যাওয়াতে তিনি নোবেল লেভেলের কিছু পাওয়ার দাবী রাখেন। অথচ তিনি বাউল নন; রীতিমত জড়িয়েটড়িয়ে থাকেন, কষ্ট পোষেন। আবার অন্যদিকে তিনি তাঁর আনন্দের ঝুলি থেকে টপাটপ বেড়াল বের করে উঠোন ভর্তি নার্ভাস পায়রাদের মধ্যে ছেড়ে চলেছেন। এমন তরতর করে মনকাড়া উপন্যাসের গতিতে সিনেমার চরিত্রকে বেড়ে উঠতে সচরাচর দেখা যায় না।
বসন্তের তথাগত হতে না পারার যাবতীয় উপাদান নিয়ে এই সিনেমা। বসন্তের ফিরে আসার গল্প আর ফিরতে না পারার গল্প মিলেমিশে যে সৌন্দর্য, তার তুলনা শুধু টলটলে দু'চোখের সন্ধ্যা রায়।
টেকনিকাল ভাষায় যাকে বলে 'মোস্ট জব্বর সিনেমা'।
No comments:
Post a Comment