আলজওয়াহরের মটন রোগনজোশ তাড়াহুড়োর মাথায় খেলে বোধ হয় মজাটাই মাটি। খানিক কাবাবটাবাব খেয়ে পেট আর জিভ তৈরি করে তবে রোগনজোশের বাটিটা টেনে নেওয়া উচিৎ। রুমালি রুটি সহযোগে, অবশ্যই।
কোমর বেঁধে ঝাল খাওয়াতে আমার কোনও আপত্তি নেই, তবে গাঁকগাঁক ঝালই যে মাংস রান্নার শেষ কথা নয়, তা আলজওয়াহর জানে।
সেই রোগনজোশের নিখুঁত ভাবে কষানো, মাপা ঝাল দেওয়া ঝোল আর তা'তে অল্প টক হালকা মিষ্টি মিশেল। আহা, সেই তুলতুলে মাংসের টুকরো; রুটি-মাংসের দলা মেঘের মত জিভের ওপর চলা ফেরা করবে। হিংস্র মেজাজে গজগজ করতে করতে চেবানো এ ক্ষেত্রে পাপ। এ রোগনজোশে একটাই পলিসি: ধীরে ধীরে ধীরে বও ওগো উতল হাওয়া।
একসময় মনখারাপ বাসা বাঁধবে। যন্ত্রণা নয়, বুকে টনটন নয়; বরং খুব ভালো কিছুর মধ্যিখানে যেমনটা হয়। পুরনোর গানের খাতার শেষ পাতায় রেনল্ডস ডটপেনে আঁকা আলপনার মত। শরীর মন এলিয়ে পড়বে; ভালোবাসায়।
খাওয়া শেষে মৌরি মিছরিতে মেজাজ নষ্ট অবান্তর। পোস্ট-রোগনজোশ মুখশুদ্ধি একটাই; নজরুল;
'পূর্ণ চাঁদের এমন তিথি; ফুল-বিলাসী, কই অতিথি..."।
(রোগনজোশের বাটি আসার পর পকেটে রাখা মোবাইলের কথা মনে ছিল না, ছবি তোলা তো দূরের কথা। এমনই তার সুবাস)।
No comments:
Post a Comment