কুমড়ো ফুলের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে যথেষ্ট কবিতাটবিতা লেখা হয়নি। ভেজে খাওয়া যায়; কাজেই জুঁই গোলাপের মত সুপ্রিয়ার খোঁপা বা রাজেশ খান্নার শায়রির ডায়রির ভাঁজে ঠাঁই পায় না। বিবর্ণ বাজারের ব্যাগের এক কোণে লেপ্টে পড়ে থাকবে, তারপর বেসিনে ধুয়েটুয়ে স্ট্রেট কড়াইয়ে। কুমড়োফুলকে এমন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অবহেলার লেন্সে ফেলে দেখাটা বন্ধ করতে হবে।
কাজেই; ব্যালকনির অকারণ শৌখিন গাছটাছ বাদ দিয়ে টবে কুমড়োফুলের গাছ বড় হচ্ছে। কুঁড়ি ধরবে। মন চনমন করে উঠবে। নতুন ফুলেরা অল্প হাওয়ায় মাথা দোলাবে। ভালোবাসা তৈরি হবে। নোলা আর হৃদয় এক সুরে বাঁধা পড়বে। তারপর বেসনে সমর্পণ।
চার মাস্কেটিয়ার্সের অন্যতম হরিবাবু; পকেট গড়ের মাঠ হলেও তাঁর বিলিতি স্কচ ছাড়া চলত না, নেশাকে তিনি এলিভেট করাতে পেরেছিলেন। কুমড়োফুলের নেশাটাও হেলাফেলার ব্যাপার নয়, নিজের ব্যালকনিতে বড় হওয়া ফুলে ভেজে খাওয়া, নচেৎ নয়।
No comments:
Post a Comment