- শোনো।
- আবার কী?
- জরুরী।
- রাত দুটোর সময় এমন জরুরী ডাকের মিনিমাম লেভেল হওয়া উচিৎ হার্ট অ্যাটাক। আশা করি তার চেয়ে কম কিছু নিয়ে হুজ্জুতি করবে না।
- মিতুল, তুমি বৌ না হারপুন?
- তুমি বর না দাঁতব্যথা?
- রিয়েলি। জেনুইন প্রশ্ন।
- ধ্যাত।
- ডিসকাস না করলে ঘুম আসবে না।
- কী?
- জানো, আজ বিকেলে...টিভি দেখতে দেখতে..চানাচুরের প্যাকেট কেটে চানাচুরের ঝর্না পার্লপেটে ঢালতে ঢালতে...হঠাৎ মনে হলো...।
- কী?
- মনে হলো..।
- বলবে না কান মুলব?
- তুমি বৌ না অঙ্কের মাস্টার?
- তুমি বর না পেপারওয়েট?
- মরুক গে। বলব না।
- ন্যাকামো না করে বলে ফ্যালো।
- বলতাম না। নেহাত তুমি ঝুলোঝুলি করছ বলে বলছি।
- আজ বিকেলে...টিভি দেখতে দেখতে..চানাচুরের প্যাকেট কেটে চানাচুরের ঝর্না পার্লপেটে ঢালতে ঢালতে...হঠাৎ তোমার কী মনে হল?
- মনে হল তোমার অভিরূপে সঙ্গে বিয়ে হলেই ভালো হত। অন্তত তোমার ইন্টেলেকচুয়াল ইকুয়াল হল। আমার সঙ্গে ভ্যাবলামি করে দিন গুজরান করতে হত না।
- হয়েছে?
- আরো মনে হল...।
- কী?
- তোমাদের ব্যালকনিতে দু'টো নয়নতারা গাছ থাকত। দু'টো বেতের চেয়ার। থুড়ি। মাদুর।
- বেশ। আর কিছু?
- না। এ'টুকুই। কী ভিষণ রিয়েল মনে হল। আর কেমন দুম করে সব কিছু ফাঁকা হয়ে গেল।
- এ'বার ফোন রাখতে হবে। ঘুম পাচ্ছে।
- হুঁ।
- শোনো।
- আবার কী?
- চানাচুর খাওয়াটা এ'বার একটু কমাও। বয়স হচ্ছে তো।
ফোন রেখে শুতে যাওয়ার সময় 'তুমি যে আমার' গানটা গুনগুন করছিল মিতুল। সামনের সপ্তাহে অভিরূপকে বলে ব্যালকনির চেয়ার দু'টো সরাতে হবে৷ মাদুরই ভালো; তা'তে বেশ হাত-পা ছড়িয়ে গল্পগুজব করা যায়। আর দু'টো নয়নতারার টবও জোগাড় করতে হবে। হবেই।
No comments:
Post a Comment