স্টিলের প্লেটে সাজানো নিখুঁত দু'জোড়া লুচির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কেমন ঘোর লেগে গেছিল সুভাষবাবুর। অমন ধবধবে, অমন গোল, অমন ফুলকো। যে কোনো একটা লুচির বুকে একটা তর্জনীর ডগা ছোঁয়ালেই মখমলে ফস্ শব্দে ধোঁয়া বেরোবে।
আর তার পাশে উপুর হয়ে শুয়ে একজোড়া লম্বাটে ডাঁটিওলা বেগুনভাজা। ডুবোতেলে যত্নে ভেজে তোলা হয়েছে।
আহা।
সে এক অদ্ভুত ঘোর। রিমঝিমে, মনকেমনের সুর বুকের মধ্যে৷ নিজের অজান্তেই থালার দিকে এগোতে শুরু করেছিলেন তিনি। সম্বিত ফিরল খোকার চিৎকারে "মা! ফের চারটে লুচি দিয়েছ? কতবার বলেছি আমায় দু'টোর বেশি দেবে না৷ যত আনহেলদি ব্রেকফাস্ট। বরং একটা এগহোয়্যাইট অমলেট দিও প্লীজ"।
"কুলাঙ্গার" শব্দটা বার দশেক বিড়বিড় করে ফের ফটোফ্রেমে সেঁধোলেন সুভাষবাবু।
No comments:
Post a Comment