- এই যে, অ্যাস্ট্রনট দত্ত! কন্ট্রোলরুম থেকে বলছি৷ কদ্দূর পৌঁছলেন?
- আর ভায়া কন্ট্রোলরুম, মহাকাশে সেঁধিয়ে তারপর টের পেলাম তালমিছরির ডিবেটা নিয়ে আসতে ভুলে গেছি। কী কাণ্ড বলুন দেখি...।
- আরে ধ্যার, যত অকাজের কথা। বলি যন্ত্রপাতি সব স্টেবল?
- দিব্যি। কোনো অসুবিধে নেই৷ এই বেলা একটু গা এলিয়ে নেব ভাবছি।
- সে কী! কাজ শুরু হয়নি?
- কাজ?
- উফফ! দত্তদা! ছবি তোলেননি? ফ্রম স্পেস? যে কাজের জন্য প্রাইমারি ভাবে আপনার যাওয়া!
- আলবাত! আর এ'বারে যা পাওয়ারফুল ক্যামেরা দিয়েছেন৷ তা দিয়ে এখান থেকেই সব যা ছবি তুলছি না; আইফোনও হার মেনে যাবে।
- আসল ছবিগুলো চটপট দিন। "মহাকাশ থেকে দেখা গেল ভারতের এই মেগা-আশ্চর্য" গোছের হেডলাইন তৈয়ার। এ'বার আপনি ছবি দিলেই..।
- তা অনেক ছবিই তো তুললাম, কোনটা দেব...।
- আরে যে কোনো...দিন না মশাই...ক্যুইক।
- এইটে দিই? সরকারি হাসপাতালের উঠোনে রুগীরা দলে দলে বেওয়ারিশ শুয়ে আছে? অনেকের হাতে স্যালাইনের বোতল? এই প্রথম মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতে তাদের দেখা যাচ্ছে! ইন্ট্রিগিং।
- সে কী! সে'সব কে চায়! এই আপনার মাথাটা গেছে...আসল ছবি কই?
- আসল ছবি! ওহ হো! ভাঙা ব্রিজট্রিজের ছবি দেব? তাও তুলেছি৷ স্পষ্ট৷ দারুণ রেজোলিউশনে। ফর দ্য ফার্স্ট টাইম ফ্রম স্পেস!
- আরে ধুর্ছাই কাঁচকলা! সব মাটি করলেন দেখছি। আরে এত খরচ করে আপনাকে স্পেসে পাঠালো হল কেন? স্পেস থেকে আমাদের দেশের এই মেগা-সাইজের মূর্তির ছবি তুলতে। আর আপনি রুগী আর ভাঙা ব্রীজের ছবি তুলে সমস্ত গুবলেট পাকাচ্ছেন?
- ওহ হো! তাই তো, তাই তো! এই তালমিছরির শর্টেজ হলেই না; আমার মাথাটা যায় গুলিয়ে। ক্যামেরা ঘুরিয়ে এখুনি সঠিক দিকে তাক করছি। এখুনি।
No comments:
Post a Comment