- হ্যালো হেডঅফিস!
- হ্যালো! কোন ইউনিট থেকে বলছেন?
- দু'শো বাহাত্তর বাই এ বাই থ্রি জেড নাইন থ্রি।
- দু'শো বাহাত্তর বাই এ বাই থ্রি জেড নাইন থ্রি? হেডঅফিসে আপনার কল তো বড় একটা আসে না...।
- অত নরম ভাবে থাপ্পড় কষিয়ে কী হবে স্যার। সোজাসুজি বলুন আমি অকাজের।
- না না, ও মা! আমি তেমন ভাবে বলতে চাইনি ভাই...।
- চাইবেন নাই বা কেন বলুন। বত্রিশ বছরের জীবনে আমি এই প্রথম হেডঅফিসে কল করেছি। আমি ব্রেনের রোমান্টিক-চুমু রেজিস্ট্রেশন ইউনিট, কিন্তু আজ পর্যন্ত একটা মাইনর চুমুও স্মৃতি হিসেবে ফাইল করতে পারিনি মগজ হেডঅফিসের মেমরি রেজিস্টারে। খুলি-স্পেস নষ্ট করে চলেছি কেবল।
- মনখারাপ করতে নেই ভায়া। মনখারাপ করতে নেই। তা আজ কী মনে করে? চুমু রেজিস্টার করার আছে নাকি? চুমু-রেজিস্টারে প্রথম এন্ট্রি আজ হবে নাকি?
- ইয়ে, ব্যাপারটা গোলমেলে।
- গোলমেলে?
- অ্যানোমালি রিপোর্ট করার আছে হেডঅফিস স্যার।
- ভাই দু'শো বাহাত্তর বাই এ বাই থ্রি জেড নাইন থ্রি ওরফে চুমু-সেন্টার। আপনি কি শিওর? চুমু নয়? অ্যানোমালি?
- হান্ড্রেড পার্সেন্ট। ঠোঁট এবং জিভ থেকে কোনও সিগনাল আসেনি। কিন্তু জানেন, আমার ইউনিট-মনিটরের সমস্ত গ্রাফ চুমুর মত লাফালাফি করেছে ঝাড়া আড়াই ঘণ্টা। একদম জিভে জিভ চুমু লেভেলের এক্সট্রিম রিপ্লস দেখা গেছে গ্রাফে। অবিকল স্মুচ এফেক্টস।
- অথচ জিভ ঠোঁট থেকে কোনও সিগনাল নেই ভাই দু'শো বাহাত্তর বাই এ বাই থ্রি জেড নাইন থ্রি? আপনি?
- জিরো। চুমু রিপলস মনিটরে অথচ জিভ ঠোঁট চুপচাপ। তা না হলে আর কাঁদুনি গাইছি কেন হেডঅফিসদাদা।
- কী মুশকিল। চুমু সেন্টারের মনিটরে চুমু-রিপ্লস দেখা গেছে, কাজেই মেমরি রেজিস্টারে তো এন্ট্রি করতেই হবে। এ'দিকে ঠোঁট আর জিভ থেকে কোনও সিগনালই নেই! লে হালুয়া। এন্ট্রি করব কী ভাবে।
- ভাবুন স্যার। কী ডেঞ্জারাস ব্যাপার। এখন উপায়?
- দাঁড়ান। এরর্ লগ চেক করি। লাইনে থাকুন।
- বেশ, দেখুন।
- এই যে, পাওয়া গেছে। চুমু রেপ্লিকেটিং সিগন্যাল আপনি কোথা থেকে রিসিভ করেছেন সে'টা মালুম হয়েছে। যাক বাবা।
- অ্যানোমালি আইডেন্টিফাই করা গেছে? মাইরি?
- স্পষ্ট। আমাদের হিউম্যান ইউনিট আজ চুমু খায়নি তাই আপনি ঠোঁট বা জিভ থেকে কোনও সিগন্যাল পাননি।
- তবে মনিটরে যত উত্তেজনা? স্মুচ সমান সিগন্যালস?
- হিউম্যান ইউনিট পুরনো বইয়ের তাক সাফ করার সময় খুঁজে পেয়েছেন কলেজ জীবনের নোটের খাতা। আর সেই খাতার ভাঁজে রাখা ছিল... বারো তেরো বছর পুরনো এক জোড়া হলদেটে মিনিবাসের টিকিট আর আধ-ছেঁড়া এক জোড়া গানের অনুষ্ঠানের পাস; সুমনের গানের অনুষ্ঠানের। তো দশ বছর কলকাতার বাইরে থাকা হিউম্যান ইউনিট স্বাভাবিক ভাবেই কেঁপে ওঠেন সে পুরনো টিকিট আর পাসের কাগজ দেখে। ব্রেনের বিভিন্ন ইউনিটে এমার্জেন্সি সাইরেন ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর হিউম্যান ইউনিট খামচে ধরেন সে টিকিট-জোড়া। সেই খামচে ধরাই চুমুর সিগনাল হয়ে আপনার ইউনিটের মনিটরে গিয়ে হামলে পড়ে।
- ওহ, তাই এই অ্যানোমালি। চুমু নয়।
- বলেন কী! এ যে রীতিমত চুমু ভাই দু'শো বাহাত্তর বাই এ বাই থ্রি জেড নাইন থ্রি ওরফে চুমু-সেন্টার! ঠোঁট আর জিভে এসে রোম্যান্স আটকে থাকবে তা কী হয়? হেডঅফিস মেমরির চুমু রেজিস্টারে আজই আপনার প্রথম এন্ট্রি হবে, কংগ্রাচুলেশনস!
No comments:
Post a Comment