Sunday, February 10, 2019

বংপেন৭৫য়ের বিজ্ঞাপন


কৃষ্ণ মন দিয়ে রথ চালাচ্ছিলেন। ফুরফুরে হাওয়া বইছে কুরুক্ষেত্র জুড়ে, বেশ একটা 'দে গাঁট্টা' মেজাজে গা ভাসিয়ে দেওয়া গেছে।

একটু মৌজ করে কেষ্টদা বললেন
"বুঝলে ভায়া অর্জুন, প্রচুর চিটকোড এনেছি। কৌরব ঠেঙিয়ে আজ একটু ফুর্তি করা যাবে"।

ও মা! ব্যাকসিটে অর্জুন স্পিকটি-নট। আর ঘাড় ঘুরিয়ে কেষ্ট যা দেখলেন তাতে তাঁর মাথা গেল ঘুরে। অর্জুন ব্যাটাচ্ছেলে কানে ইয়ারফোন গুঁজে মগ্ন, মাঝেমাঝে দুলে দুলে উঠছে আর গুনগুন করছে " উ লাল্লা উ লাল্লা পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে উ লাল্লা উ লাল্লা রে"। যশোদানন্দন অমনি পাশে রাখা বইটা হাতে তুলে নিলেন; বংপেন৭৫। বইটার মধ্যে সুদর্শন চক্রটা পেজমার্ক হিসেবে রাখা ছিল; সে'টা সাবধানে বের করে পাশে সরিয়ে রাখলেন। তারপর অর্জুনের গবেট মাথা তাক করে ছুঁড়ে মারলেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় অস্ত্র; পত্রভারতী প্রকাশিত বংপেন৭৫।

দেড় মিনিটের মাথায়, কপালে আইসপ্যাক ঘষতে ঘষতে আর"সরি গুরু, রিয়েলি সরি" বলতে বলতে; উঠে দাঁড়ালেন মহারথী অর্জুন, টেনে নিলেন গাণ্ডিব। "যত্তসব লেজি বাফুন" বলে বংপেন৭৫টা তুলে ঝেড়েঝুড়ে নিজের কাছে রাখলেন কেষ্ট। রথ এগিয়ে নেওয়ার আগে অবশ্য একটা মেসেজ পাঠাতে হল তাকে;

" ব্যাসস্যর, বংপেন৭৫ ছুঁড়ে মারার এপিসোডটা ডায়রেক্টলি রেকর্ড না করে একটু উলটে পালটে নেওয়াই ভালো। দু'একটা কোটেশন ফোটেশন না ঢোকালে ঠিক ক্লাসিকাল বলা যাবে না, তাই না"?

No comments: