বিচারক ১ - আসর মাতিয়ে দিলি রে ভাই৷ কী বুকনি! কী বাতেলা! আর বাজে কথা বলার কী কনফিডেন্স।
প্রতিযোগী (নতশির, বুকে হাত) - থ্যাঙ্কিউ স্যার, থ্যাঙ্কিউ।
বিচারক ১ - তিরিশ মিনিটের বক্তৃতায় তুই অন্তত বেয়াল্লিশখানা মিথ্যে বলেছিস। আমি গুনেছি। কিন্তু একবারের জন্যেও তোর গলা কাঁপেনি। শুনতে শুনতে আমার গায়ে কাঁটা দিয়েছে ভাই। উফফফ্।
সঞ্চালক - গায়ে কাঁটা? কই দেখি গাঁজাদা!
বিচারক ১ (হাতের জামা গুটিয়ে) - এই দ্যাখো। আমি থ্রিলড। আমি আপ্লুত। ও এত জেনুইনলি সব মিথ্যে প্রতিশ্রুতিগুলো পাবলিককে ছুঁড়ে মারছিল যে আমার ইচ্ছে করছিল ওকে ভাষণের মধ্যেই জড়িয়ে ধরি।
সঞ্চালক - তা'হলে তোমার তরফ থেকে দশে দশ?
বিচারক - দশে সোয়া দশ দেওয়া গেলে তৃপ্তি পেতাম। তবে অঙ্ক ব্যাপারটা এমন ত্যাঁদড়..। ওই দশই থাক।
প্রতিযোগী (নতশির, বুকে হাত) - থ্যাঙ্কিউ স্যার, থ্যাঙ্কিউ।
সঞ্চালক - একটা সানসেট চব্যনপ্রাশ মার্কা জোরে হাততালি হয়ে যাক।
প্রতিযোগী (নতশির, বুকে হাত, ক্যামেরা জুম করলে দেখা যাবে চোখের চিকচিক) - থ্যাঙ্কিউ, থ্যাঙ্কিউ।
সঞ্চালক - এ'বার চলে যাব পরের বিচারক গুলতানিদিদির কাছে।
বিচারক ২ - ও যখন ভাষণের সময় মাইক্রোফন খামচে আঙুল নাচাচ্ছিল, তখন ওকে দেখে মনে হচ্ছিল ওই পারবে। ও ঠিক পারবে। ও পারবে সংবিধানের বই নিয়ে খাটের পায়ার নীচে গ্যাটিস দিতে। ওর ভাষণের গুণে এই মঞ্চ আজ সত্যিই ব্রিগেড হয়ে উঠেছিল। ওর জন্য রইল আমার স্ট্যান্ডিং ওভেশন। (দাঁড়িয়ে পড়ে হাততালি)
প্রতিযোগী (নতজানু, নতশির, বুকে হাত) - থ্যাঙ্কিউ দিদি, থ্যাঙ্কিউ।
বিচারক ২ - আই লাভ ইউ রে। তুই কী করে পারিস এত বিষাক্ত সুরে বক্তৃতা দিতে? অনেক আদর নিস বাবু। তবে আমার আরো একটু আবদার আছে। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, বাতেলা এ'সব তোর যথেষ্ট পাঞ্চ ছিল। গুড। এমন কী প্রতিপক্ষের চরিত্র তাক করে কাদাও কম ছুঁড়িসনি। কিন্তু ধর্ম নিয়ে সুড়সুড়িটা বাদ দিলি কেন? ওই ব্যাপারটায় তোর আত্মবিশ্বাস এখনও নড়বড়ে কি? ভুলে যাস না সামনের রাউন্ডগুলো কিন্তু আরো কঠিন হবে৷ ক্রিটিসাইজ করছি না, স্রেফ সাজেশন একটু ভেবে দেখিস।
প্রতিযোগী (চিন্তিত মুখ, তবু নতশির, তবু বুকে হাত) - থ্যাঙ্কিউ দিদি, থ্যাঙ্কিউ।
সঞ্চালক - গুলতানিদিদি, এ'বার নম্বরটা শুনি।
বিচারক ২ - দশে দশ। আর প্রতিপক্ষের নামে মিথ্যে খিস্তি দারুণ দাপটের সঙ্গে ছড়ানোর জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা বোনাস চুমু। মুয়াহ্।
সঞ্চালক - ফাটাফাটি। কুড়িতে কুড়ি। একটা সানসেট চব্যনপ্রাশ মার্কা জোরে হাততালি হয়ে যাক।
প্রতিযোগী (নতশির, বুকে হাত, ক্যামেরা জুম করলে দেখা যাবে চোখের চিকচিক) - থ্যাঙ্কিউ, থ্যাঙ্কিউ।
সঞ্চালক - এ'বারে বুথদখলকাকু, তুমি বলো তোমার কেমন লেগেছে ওর ভাষণ।
বিচারক ৩ - এই মঞ্চটা অনেক উঁচু। অনেক। অনেক। গাঁজা, গুলতানি প্রশংসা করেছে, আমি শুনেছি। ওদের বিচার আমার সর আঁখো পর। কিন্তু...। কিন্তু কিছু করওয়া সচ্ আমায় বলতেই হবে।
প্রতিযোগী - (মুখের ওপর কালচে নীল আলো, নতশির)
বিচারক ৩ - মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, বাজে বাতেলা, খিস্তিখেউড়; এ'সব তুই ভালোই নিভিয়েছিস। কিন্তু বেটা, পলিটিকাল র্যালিতে পাবলিক আরো বেশি কিছু চায়। কুছ এক্সট্রা। মানছি এ যুগে ডাইরেক্ট লার্জ স্কেলে লাশ ফেলার প্রমিস করা আসান নয়। কিন্তু চাপা থ্রেট দিবি না? নীচুতলার কর্মীরা মোটিভেটেড হবে কী করে? এত টাকা দিয়ে তবে গুণ্ডা পুষবে কেন পার্টি? ভুলে যাস না এ মঞ্চটার নাম "কে হবে বাংলার সেরা ব্রিগেড-নেতা"! যে সেরা, তারা কাছে সব রকম ওয়েপন থাকতে হবে।
বিচারক ১ - এ জন্যেই বুথদখলকাকু গুরুদেব। (উঠে এসে বিচারক ৩য়ের হাঁটু ছুঁয়ে প্রণাম)।
বিচারক ২ - (উঠে এসে বিচারক ৩য়ের হাঁটু ছুঁয়ে প্রণাম)
সঞ্চালক - (বিচারক ৩য়ের হাঁটু ছুঁয়ে প্রণাম)
(ব্যাকগ্রাউন্ডে ভায়োলিনে 'মঙ্গলদীপ জ্বলে অন্ধকারে দু'চোখ আলোয় ভরো প্রভু')
বিচারক ৩ (প্রতিযোগীর দিকে নরম দৃষ্টিতে তাকিয়ে) - তবে তুই ভালোই বলেছিস। তোর এমপি হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। কিন্তু এই মঞ্চ থেকে যে সেরা হবে সে শুধু ব্রিগেড কাঁপাবে না, সে দেশ আর রাজ্য কাঁপাবে মন্ত্রী হয়ে। ইফ পসিবল চীফমিনিস্টার বার প্রাইমমিনিস্টার হয়ে। নিজেকে এই ওয়াদাটা কর আর নেভা। বুঝেছিস?
প্রতিযোগী - (নতশির, বুকে হাত, মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মতি জ্ঞাপন)
বিচারক ৩ - আমার তরফ থেকে তোর জন্য দশে নয়। পরের বার যেন দশে দশ হয়। ভাষণে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার কথা বলতে হবে।
সঞ্চালক - ফাটাফাটি। তিরিশে উনত্রিশ। একটা সানসেট চব্যনপ্রাশ মার্কা জোরে হাততালি হয়ে যাক।
প্রতিযোগী (নতশির, বুকে হাত, ক্যামেরা জুম করলে দেখা যাবে চোখের চিকচিক) - থ্যাঙ্কিউ, থ্যাঙ্কিউ।
প্রতিযোগী (নতশির, বুকে হাত) - থ্যাঙ্কিউ স্যার, থ্যাঙ্কিউ।
বিচারক ১ - তিরিশ মিনিটের বক্তৃতায় তুই অন্তত বেয়াল্লিশখানা মিথ্যে বলেছিস। আমি গুনেছি। কিন্তু একবারের জন্যেও তোর গলা কাঁপেনি। শুনতে শুনতে আমার গায়ে কাঁটা দিয়েছে ভাই। উফফফ্।
সঞ্চালক - গায়ে কাঁটা? কই দেখি গাঁজাদা!
বিচারক ১ (হাতের জামা গুটিয়ে) - এই দ্যাখো। আমি থ্রিলড। আমি আপ্লুত। ও এত জেনুইনলি সব মিথ্যে প্রতিশ্রুতিগুলো পাবলিককে ছুঁড়ে মারছিল যে আমার ইচ্ছে করছিল ওকে ভাষণের মধ্যেই জড়িয়ে ধরি।
সঞ্চালক - তা'হলে তোমার তরফ থেকে দশে দশ?
বিচারক - দশে সোয়া দশ দেওয়া গেলে তৃপ্তি পেতাম। তবে অঙ্ক ব্যাপারটা এমন ত্যাঁদড়..। ওই দশই থাক।
প্রতিযোগী (নতশির, বুকে হাত) - থ্যাঙ্কিউ স্যার, থ্যাঙ্কিউ।
সঞ্চালক - একটা সানসেট চব্যনপ্রাশ মার্কা জোরে হাততালি হয়ে যাক।
প্রতিযোগী (নতশির, বুকে হাত, ক্যামেরা জুম করলে দেখা যাবে চোখের চিকচিক) - থ্যাঙ্কিউ, থ্যাঙ্কিউ।
সঞ্চালক - এ'বার চলে যাব পরের বিচারক গুলতানিদিদির কাছে।
বিচারক ২ - ও যখন ভাষণের সময় মাইক্রোফন খামচে আঙুল নাচাচ্ছিল, তখন ওকে দেখে মনে হচ্ছিল ওই পারবে। ও ঠিক পারবে। ও পারবে সংবিধানের বই নিয়ে খাটের পায়ার নীচে গ্যাটিস দিতে। ওর ভাষণের গুণে এই মঞ্চ আজ সত্যিই ব্রিগেড হয়ে উঠেছিল। ওর জন্য রইল আমার স্ট্যান্ডিং ওভেশন। (দাঁড়িয়ে পড়ে হাততালি)
প্রতিযোগী (নতজানু, নতশির, বুকে হাত) - থ্যাঙ্কিউ দিদি, থ্যাঙ্কিউ।
বিচারক ২ - আই লাভ ইউ রে। তুই কী করে পারিস এত বিষাক্ত সুরে বক্তৃতা দিতে? অনেক আদর নিস বাবু। তবে আমার আরো একটু আবদার আছে। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, বাতেলা এ'সব তোর যথেষ্ট পাঞ্চ ছিল। গুড। এমন কী প্রতিপক্ষের চরিত্র তাক করে কাদাও কম ছুঁড়িসনি। কিন্তু ধর্ম নিয়ে সুড়সুড়িটা বাদ দিলি কেন? ওই ব্যাপারটায় তোর আত্মবিশ্বাস এখনও নড়বড়ে কি? ভুলে যাস না সামনের রাউন্ডগুলো কিন্তু আরো কঠিন হবে৷ ক্রিটিসাইজ করছি না, স্রেফ সাজেশন একটু ভেবে দেখিস।
প্রতিযোগী (চিন্তিত মুখ, তবু নতশির, তবু বুকে হাত) - থ্যাঙ্কিউ দিদি, থ্যাঙ্কিউ।
সঞ্চালক - গুলতানিদিদি, এ'বার নম্বরটা শুনি।
বিচারক ২ - দশে দশ। আর প্রতিপক্ষের নামে মিথ্যে খিস্তি দারুণ দাপটের সঙ্গে ছড়ানোর জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা বোনাস চুমু। মুয়াহ্।
সঞ্চালক - ফাটাফাটি। কুড়িতে কুড়ি। একটা সানসেট চব্যনপ্রাশ মার্কা জোরে হাততালি হয়ে যাক।
প্রতিযোগী (নতশির, বুকে হাত, ক্যামেরা জুম করলে দেখা যাবে চোখের চিকচিক) - থ্যাঙ্কিউ, থ্যাঙ্কিউ।
সঞ্চালক - এ'বারে বুথদখলকাকু, তুমি বলো তোমার কেমন লেগেছে ওর ভাষণ।
বিচারক ৩ - এই মঞ্চটা অনেক উঁচু। অনেক। অনেক। গাঁজা, গুলতানি প্রশংসা করেছে, আমি শুনেছি। ওদের বিচার আমার সর আঁখো পর। কিন্তু...। কিন্তু কিছু করওয়া সচ্ আমায় বলতেই হবে।
প্রতিযোগী - (মুখের ওপর কালচে নীল আলো, নতশির)
বিচারক ৩ - মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, বাজে বাতেলা, খিস্তিখেউড়; এ'সব তুই ভালোই নিভিয়েছিস। কিন্তু বেটা, পলিটিকাল র্যালিতে পাবলিক আরো বেশি কিছু চায়। কুছ এক্সট্রা। মানছি এ যুগে ডাইরেক্ট লার্জ স্কেলে লাশ ফেলার প্রমিস করা আসান নয়। কিন্তু চাপা থ্রেট দিবি না? নীচুতলার কর্মীরা মোটিভেটেড হবে কী করে? এত টাকা দিয়ে তবে গুণ্ডা পুষবে কেন পার্টি? ভুলে যাস না এ মঞ্চটার নাম "কে হবে বাংলার সেরা ব্রিগেড-নেতা"! যে সেরা, তারা কাছে সব রকম ওয়েপন থাকতে হবে।
বিচারক ১ - এ জন্যেই বুথদখলকাকু গুরুদেব। (উঠে এসে বিচারক ৩য়ের হাঁটু ছুঁয়ে প্রণাম)।
বিচারক ২ - (উঠে এসে বিচারক ৩য়ের হাঁটু ছুঁয়ে প্রণাম)
সঞ্চালক - (বিচারক ৩য়ের হাঁটু ছুঁয়ে প্রণাম)
(ব্যাকগ্রাউন্ডে ভায়োলিনে 'মঙ্গলদীপ জ্বলে অন্ধকারে দু'চোখ আলোয় ভরো প্রভু')
বিচারক ৩ (প্রতিযোগীর দিকে নরম দৃষ্টিতে তাকিয়ে) - তবে তুই ভালোই বলেছিস। তোর এমপি হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। কিন্তু এই মঞ্চ থেকে যে সেরা হবে সে শুধু ব্রিগেড কাঁপাবে না, সে দেশ আর রাজ্য কাঁপাবে মন্ত্রী হয়ে। ইফ পসিবল চীফমিনিস্টার বার প্রাইমমিনিস্টার হয়ে। নিজেকে এই ওয়াদাটা কর আর নেভা। বুঝেছিস?
প্রতিযোগী - (নতশির, বুকে হাত, মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মতি জ্ঞাপন)
বিচারক ৩ - আমার তরফ থেকে তোর জন্য দশে নয়। পরের বার যেন দশে দশ হয়। ভাষণে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার কথা বলতে হবে।
সঞ্চালক - ফাটাফাটি। তিরিশে উনত্রিশ। একটা সানসেট চব্যনপ্রাশ মার্কা জোরে হাততালি হয়ে যাক।
প্রতিযোগী (নতশির, বুকে হাত, ক্যামেরা জুম করলে দেখা যাবে চোখের চিকচিক) - থ্যাঙ্কিউ, থ্যাঙ্কিউ।
No comments:
Post a Comment