হিরো নম্বর ১

হিরো নম্বর ওয়ান' সিনেমার কোন গান ছেড়ে কোন গানের প্রশংসা করব?সে'গুলোকে কাঠকাঠ র‍্যাঙ্কিংয়ে বসানোও অসম্ভব ও অনুচিত।

রোম্যান্টিক বাতিক উঠলে 'সাতো জনম তুঝকো পাকে গোরি তেরে নয়নো মে হম বস যাতে'র সুরে নিজেকে ডুবিয়ে দিলেই হয়। 'ইউপি-ওয়ালা ঠুমকা'টা সোনুর ম্যাজিক আর পাঁচালি-মার্কা মিঠে তালে জমজমাট। নাচের নাম শুনলে আমার পায়ে কেউ যেন পিরামিড সাইজের পাথর বেঁধে দেয়, কিন্তু সেই আমিও বোধ হয় 'ম্যায় তুঝকো ভগা লায়ুঙ্গা' শুনলে মনে মনে সামান্য নেচে নিই। বিভিন্ন ড্রামাটিক লেভেলে ছড়িয়ে রয়েছে 'ম্যানে পয়দল সে যা রহা থা'র কথা; এই গানে বর্ণিত 'ট্রিং ট্রিং কা ইশার'র কনসেপ্টের সঙ্গে যার পরিচর নেই, সে কি আদৌ কোনোদিন প্রেমে পড়তে পেরেছে? আর গোবিন্দার ক্যারিস্মা আর করিস্মায় মাত করে দেওয়া 'তু মেরা হিরো নম্বর ১'; সে গান কানে এলে 'ওয়াহ্' বলা ছাড়া কোনো গতি থাকে না।

একটা জরুরী ব্যাপার; শুধু শুনে এই সব গানের মর্ম আত্মস্থ করা সম্ভব নয়৷ গান শোনার পাশাপাশি গোবিন্দাকে না দেখলে এ গানগুলোর আত্মাকেই চেনা হবে না যে। আর হ্যাঁ, গানগুলো ম্যাজিক দেখার জন্য সিনেমাটা পুরো দেখা আদৌ তেমন জরুরী নয় (অবশ্য সিনেমাটা না দেখারও কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই)৷

কিন্তু আবারও বলি, শোনার পাশাপাশি গানগুলো দেখাও জরুরী। এই যেমন 'তু মেরা হিরো নম্বর ১ ওয়ান' গানখানা। গানের প্রায় গোটাটা জুড়ে করীশ্মা কপুর গোবিন্দার মানভঞ্জনের চেষ্টায় মগ্ন। কিন্তু গোবিন্দা সহজে ভোলার পাত্র নন। এই গানের শেষ প্রান্তে এসে গোবিন্দা গললেন এবং নিজের গলে যাওয়া ব্যাক্ত করতে যে অনাবিল নাচ তিনি নাচলেন; তা'তে জীবনানন্দ আছেন কিনা জানা নেই, কিন্তু ট্রামের জানালায় বসে অঞ্জনবাবুর সুর গুনগুন করার ভালোবাসাটুকু নিশ্চয়ই আছে।